প্রকাশ: ৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১০:৫৭ : পূর্বাহ্ণ
চুয়েটের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া মহোদয় বলেছেন,“আমাদের নতুন প্রজন্মের উন্নতি মানেই দেশের সার্বিক উন্নতি। এদেশের তরুণেরা যত বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিতে উন্নত হবে, বাংলাদেশও তত উন্নতি সাধন করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জ্ঞানবিজ্ঞানের নিত্যনতুন দিক নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করবেন, সৃজিত জ্ঞান ও পরিবর্তিত ধারণা পরস্পরের মধ্যে বিতরণ করবেন, এরকমটাই প্রত্যাশিত। পরীক্ষালব্ধ এই জ্ঞানকে সমাজের কল্যাণে কাজে লাগিয়ে দেশের অগ্রযাত্রাকে আরো গতিশীল হওয়ার মাধ্যমে দেশ হবে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশ শিক্ষা ও গবেষণায় সমৃদ্ধ হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতার থেকে দ্রুত উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে এটাই সবার প্রত্যাশা।”
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ চুয়েটিয়ান ইন অস্ট্রেলিয়া ইনকর্পোরেশন আয়োজনে ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তর এর সহযোগিতায় গতকাল ৮ই জানুয়ারি (বুধবার) ২০২৫ খ্রিঃ দুপুর ০২.৩০ ঘটিকায় চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত “ইন্সপায়ারিং ফিউচারসঃ নলেজ এন্ড পাথওয়েস” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুল আলম। এতে স্পিকার হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. প্রবীর সরকার, দি ইউনিভার্সিটি অব এডিলেড অস্ট্রেলিয়া এর প্রভাষক ড. তাফসিরুজ্জামান, অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ড. ইফতেখার খান, টিপিজি টেলিকম অস্ট্রেলিয়া এর সিনিয়র অপারেশন ইঞ্জিনিয়ার জনাব সাইফুল ইসলাম ও নিউসাউথওয়েলস গভর্মেন্ট এর সাইবার সিকিউরিটির হেড জনাব চৌধুরী মাহমুদ। চুয়েটিয়ান ইন অস্ট্রেলিয়া ইনকর্পোরেশনের সভাপতি জনাব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে উক্ত সেমিনারের মডারেটর ছিলেন ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম ও চুয়েটিয়ান ইন অস্ট্রেলিয়া ইনকর্পোরেশনের নির্বাহী কমিটির ক্যারিয়ার এন্ড হায়ার এডুকেশন সেক্রেটারি জনাব মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে দক্ষ জনশক্তি। দেশগুলো তাদের মানবাধিকার চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তাকে প্রাধান্য দিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছে। এতে উক্ত দেশগুলো শক্ত ভিত্তি স্থাপনের মাধ্যমে উন্নয়নের গতি বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ব বাজারেও নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশ রয়েছে, যাদের ভিত্তি সম্পূর্ণরূপে দক্ষ জনশক্তির ওপর নির্ভরশীল। কারণ দেশগুলো তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যতের পরিস্থিতি অবলোকন করে স্থায়ী কাঠামো নির্মাণে মূল প্রকল্প তৈরি করেছে দক্ষ জনশক্তিকে কেন্দ্র করে। এতে দেশগুলোর নাগরিক চাহিদা অর্জিত হচ্ছে এবং পূরণ হচ্ছে অর্থনীতির ঘাটতিগুলো। আমাদের দক্ষ জনশক্তি নির্মাণ করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রথমত দেশের উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এখন সময় এসেছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সার্টিফিকেট কেন্দ্রিক শিক্ষা থেকে নিজ নিজ পেশায় দক্ষ ও পেশাদার কর্মী তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তর করা। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে, ঘুচবে বেকারত্বের অভিশাপ।”