চট্টগ্রাম, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৪ঠা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইজতেমা ময়দান ছাড়ছেন সাদপন্থীরা

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১১:২৩ : পূর্বাহ্ণ

 

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর মুসল্লিরা ইজতেমার মাঠ ছাড়তে শুরু করেছেন। তারা মূলত মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারী।

শামিয়ানা কাঁধে নিয়ে বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও পিকআপে করে কিংবা পায়ে হেঁটে তাদেরকে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হতে দেখা গেছে।

 

 

সাদ ও জোবায়েরপন্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-ওওও/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে বুধবার দুপুর ২টা থেকে কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি-পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো।

 

 

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খানের স্বাক্ষর করা আরেক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকায় জনসাধারণের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হলো। এ সময় দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একত্রে ঘোরাফেরা, জমায়েত এবং কোনো মিছিল-সমাবেশ করতে পারবে না। গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ আইন ২০১৮ এর ৩০ ও ৩১ ধারায় পুলিশ কমিশনারকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই আদেশ দেয়া হলো।

সাদ ও জুবায়ের অনুসারীদের সংঘর্ষে তিনজন নিহতের পর (নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪) দুপুরে সচিবালয়ে বৈঠক হয়। এতে সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টার সঙ্গে সাদ অনুসারীরা বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ইজতেমা ময়দান খালি করে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।

 

 

আজ সকালে সাদ অনুসারীরা ইজতেমা ময়দান তাদের দখলে নিয়েছিলেন। সরকার থেকে নির্দেশনার পর তারা মাঠ ছাড়তে শুরু করেন।

জানা গেছে, ইজতেমা ময়দান এখন থেকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো পক্ষ ময়দানে প্রবেশ করতে পারবে না।

 

Print Friendly and PDF