প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১১:২৩ : পূর্বাহ্ণ
গত ১৫ বছরে কেবল চট্টগ্রামেই বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক শিল্প কারখানা। আওয়ামী লীগ সরকারের বিমাতাসুলভ আচরণ ও বৈষম্যের শিকার হয়েছে তাদের অপছন্দের ব্যবসায়ীরা। কারখানা বন্ধ হওয়ায় বেকার হয়েছে হাজারও কর্মী। বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব কল কারখানা আবারও চালু ও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে বঞ্চিত ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
চট্টগ্রামের কালুরঘাটের এস এ অয়েল রিফাইনারী নামের এই সয়াবিন তেল শোধনের এই কারখানাটি এক সময় গমগম করতো হাজারো কর্মীর কর্মযজ্ঞে। কোন কারণ ছাড়াই অন্যায়ভাবে ২০১৮ সালে এই কারখানায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।
কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি সব বিল সময়মত পরিশোধ করা হলেও ২০১৮ সালে আগের আট বছরের বিল চাওয়া হয়। যা আদালতেও ভুল প্রমাণিত হয়। পরে আদালত গ্যাস সংযোগ দেয়ার নির্দেশ দিলেও এখনও তা দেয়া হয়নি। শুধু এস এ অয়েল রিফাইনারী নয় এই গ্র“পের আরো ৬টি কারখানাকে এমন জটিলতায় ফেলে বন্ধ করে দেয় তৎকালীন সরকার।
এমন উদাহরণ আরও আছে। চট্টগ্রামের বায়োজিদের আরএসআরএম গ্র“পের এই রড কারখানাটিও ব্যাংকিং মারপ্যাচে ফেলে ২০২০ সালে বন্ধ করে দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। দৈনিক ১ হাজার ৪০০ শ’ মেট্রিক টন রড উৎপাদন ক্ষমতার এই রি রোলিং মিলটি রাতারাতি বন্ধ হয়ে গেলে কর্মহীন হয়ে পড়ে এক সহস্রাধিক শ্রমিক কর্মচারী।
বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর এসব শিল্প কারখানা আবারো চালু করার স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের প্রণোদনা প্রদান, ব্যাংকিং ঋণ দেয়াসহ নতুন আর্থিক কাঠামো ঘোষণার পরামর্শ দিলেন সংশ্লিষ্টরা।
বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের তথ্যমতে, বিগত এক দশকে তৈরি পোশাক, ইস্পাত কারখানা, জাহাজ ভাঙা প্রতিষ্ঠান, অক্সিজেন প্লান্ট, ভোজ্যতেল পরিশোধনাগার, কাগজ মিল, জুট মিল ও ওষুধ খাতের বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৬০০।