চট্টগ্রাম, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মা-মেঘনায় ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১১:০৬ : পূর্বাহ্ণ

 

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টা থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব নদ-নদী ও সাগরে জারি থাকবে এ নিষেধাজ্ঞা।

এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয় ও নিষিদ্ধ থাকবে এবং একইসঙ্গে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে।

চাঁদপুরের মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞা সময়ে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

 

এদিকে পদ্মা-মেঘনা পাড়ের অর্ধলক্ষাধিক জেলেরা জাল-নৌকা তীরে উঠিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে জেলেরা। সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার দাবি জানান জেলেরা।

চাঁদপুর সদর উপজেলা হরিনাঘাট মেঘনা পাড়ের জেলে বাবুল ও লোকমান হোসেন বলেন, আমরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানি। কিছু কিছু জেলে মানে না। ২২ দিন মাছ ধরতে পারবো না কিন্তু পরিবার নিয়ে কীভাবে দিন কাটে, সেই খবর কেউ রাখে না। আমাদের যে চাল দেয়, তা দিয়ে কিছুই হয় না। চালের সঙ্গে আনুষঙ্গিক জিনিস লাগে, সেই খরচ কীভাবে পাবো।

চাঁদপুর নদীকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আবু কাউছার দিদার বলেন, বিগত বছরের মতো এবারো ডিম ছাড়াল অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। আশা করছি বিগত বছরের ৫২.৪% স্পেন রেট ছিল, তা এই বছরেরও সমসাময়িক কিংবা বেশি হতে পারে। ইলিশের প্রাপ্যতা বৈরী আবার কারণে কম ছিল। যার কারণে জেলেরা আশানুরূপ ইলিশ পায়নি। আশা করছি- ইলিশের ২২ দিন বন্ধের পরপরই বিগত বছরের মত কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাবে।

 

 

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, ‘অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে পালিত হবে। নিষেধাজ্ঞাকালীন কোনো জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো জেলে যাতে নদীতে নামতে না পারে এবং ইলিশ আহরণ করতে না পারে। আমরা কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশে অতিরিক্ত সদস্য রাখা হবে। এছাড়া এবার সেনাবাহিনীকে বলা হয়েছে, যাতে নদীর তীরবর্তী এলাকায় মনিটরিং করে। পাশাপাশি এবার রোবার স্কাউটকে এই কাজে যুক্ত করা হবে।’

ডিসি বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে যে চাল দেয়া হয় এর বাইরে কোনো আর্থিক সহায়তার সুযোগ নেই। আমরা শুধুমাত্র চালই বরাদ্দ পেয়েছি। জেলেরা যে আর্থিক সহায়তার দাবি করেন, আমরা ভবিষ্যতে এই বিষয় নিয়ে কথা বলবো, যাতে তাদের জন্য কিছু করতে পারি।

 

Print Friendly and PDF