চট্টগ্রাম, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে , নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:৩৬ : পূর্বাহ্ণ

 

পাহাড়ি ঢল আর কয়েক দিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টের ৪৪টি জলকপাট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে পানি উন্নয়ণ বোর্ড লালমনিরহাট।

এদিকে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে লালমনিরহাটের ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদসীমার ১৯সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কাউনিয়া পয়েন্টের পানিও।

 

 

পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ী, কালিগঞ্জ উপজেলার ভোটমারি, চরবৈরাতি আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, গোবর্ধন, সদর উপজেলার কালমাটি, হরিণচড়া, খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডাসহ অন্তত ১৫টি টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। বসতঘরে পানি ওঠায় লোকজন দুর্ভোগে পড়েছেন। পানি উঠেছে রংপুর ও নীলফামারীর নিম্নাঞ্চলের  অনেক বসতবাড়িতে। এত আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে তিস্তাপাড়ের মানুষ।

 

 

এদিকে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলোও ঝুঁকিতে পড়েছে। বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছে নদীপাড়ের হাজারও মানুষ। ৩ হাজার হেক্টর ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। দীর্ঘ সময় ডুবে থাকলে এসব ফসলের মারাত্মক ক্ষতির শঙ্কা করছেন চাষিরা। ভেসে গেছে ২শতাধিক পুকুরের মাছ। মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সলেডি স্প্যার বাঁধসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো। বাঁধ ভেসে যাওয়ায় শঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ভাটিতে থাকা শত শত পরিবার।

 

 

বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র ও চরবাসী জানায়, উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তার পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, রোববার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বেড়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তাপাড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে।

 

 

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বলেন, কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী খুব দ্রুত পৌঁছে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে বাঁধ বা সড়ক ভেঙে নতুন এলাকা যাতে প্লাবিত না হয়, সেটা নজরদারি করে ইতোমধ্যে জিও ব্যাগ দিয়ে তা রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। বন্যা মোকাবেলা করতে জেলা, উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।

 

Print Friendly and PDF