প্রকাশ: ১৪ জুলাই, ২০২৪ ১:১৪ : অপরাহ্ণ
সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংসদে আইন পাসের এক দফা দাবিতে বঙ্গভবন অভিমুখে গণপদযাত্রা শুরু করেছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৪ জুলাই) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ পদযাত্রা শুরু হয়। এদিন একইসঙ্গে আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও জেলায় জেলায় গণপদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেছে।
এর মধ্যে রাজধানীতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ-মৎস্যভবন-প্রেসক্লাব হয়ে বঙ্গভবনের উদ্দেশে পদযাত্রা করছেন। বঙ্গভবনে পৌঁছে তারা রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন। এ ছাড়া রাজধানীর বাইরে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি জমা দেবেন।
রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীতে শুরু হওয়া গণপদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে, সারাদেশে প্রায় ৫০টি জেলা থেকে স্মারকলিপি প্রদানের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে, তবে সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
পদযাত্রায় আন্দোলনরতদের ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না‘, কুবিতে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব দে’, ‘হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘সংবিধানের মূল কথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না’, ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ এমন নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো- সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করা।