চট্টগ্রাম, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ , ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারী বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশ: ১৩ জুলাই, ২০২৪ ৩:২০ : অপরাহ্ণ

 

ভারী বৃষ্টিতে দেশের মধ্যঞ্চলের কয়েক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নদীর পানি উপচে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। পদ্মার পানি বেড়ে রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের বহু  নিুাঞ্চল তলিয়ে গেছে। বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। এদিকে, বৃষ্টি কমে আসায় সিলেট ও দেশের উত্তরের জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।  আবহাওয়া অফিস বলছে, চলতি সপ্তাহে কয়েকটি অঞ্চল ছাড়া দেশের সব জায়গায় বৃষ্টিপাত কমবে। তবে ১৯ শে জুলাই থেকে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বাড়বে।

 

প্রবল বৃষ্টিতে বাড়তে শুরু করেছে পদ্মা নদীর পানি। ফরিদপুরে গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মার পানি বেড়ে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।  এতে ফরিদপুরের চার উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৫শ’র বেশি পরিবার।

পদ্মার পানি বাড়ায় রাজবাড়ীর সদর, গোয়ালন্দ, কালুখালী ও পাংশা উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। মানিকগঞ্জে পদ্মা ও যমুনার পানি বেড়ে চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেত।

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কমলেও অন্যসব নদীর পানি বেড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন কাটছে ৫০ হাজার মানুষের। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট থাকায় ভোগান্তি কমছে না। আপস..

টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতি অপরির্বতিত রয়েছে। বিস্তির্ণ জনপদ, হাট-বাজার, রাস্তাঘাট, ডুবে আছে পানিতে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে থাকায় বন্ধ আছে পাঠদান।

 

জামালপুরে যমুনার পানি কমলেও এখনো পানিবন্দী ৬ উপজেলার নিুাঞ্চলের ২ হাজার পরিবার। তিন শ’র বেশি স্কুলে পাঠদান বন্ধ আছে। রাস্তাঘাট ডুবে থাকায় সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে।

এদিকে, বৃষ্টি না হওয়ায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। নদ-নদীর পানি কমছে। প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কাটেনি বন্যাকবলিতদের। বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় আবারও পানি বাড়ার আশঙ্কায় আছেন স্থানীয়রা।

 

সুনামগঞ্জে উচু এলাকাগুলো থেকে পানি নামলেও এখনো ডুবে আছে হাওর এলাকা। অন্যদিকে, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি কমায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে উত্তরের জেলাগুলোতে। বন্যা দুর্গত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে।

কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ। বাড়িঘরে পানি থাকায় নৌকায় দিন কাটছে বহু পরিবারের। টানা বৃষ্টিতে তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। লালমনিরহাটে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। তিস্তার বাম তীর রক্ষা বাঁধের ৩ কিলোমিটারজুড়ে ভাঙছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী ৫দিন সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে বৃষ্টি হলেও বাকি অঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা কমবে। তবে ১৯ শে জুলাই থেকে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বাড়বে।

 

Print Friendly and PDF