চট্টগ্রাম, রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যাপ্রবণ এলাকা বিস্তৃত হচ্ছে , হচ্ছে বারবার

প্রকাশ: ১২ জুলাই, ২০২৪ ৩:২১ : অপরাহ্ণ

 

খাল-নদী ও জলাভূমি দখল, অপরিকল্পিত নগরায়ন, সেই সাথে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে দেশে গেল একদশক ধরে বন্যার ধরন বদলে যাচ্ছে। বন্যাপ্রবণ এলাকার বিস্তৃতি ঘটছে। প্লাবিত হচ্ছে দফায় দফায়। বিশেষ করে গোটা সিলেট বিভাগ ও ময়মনসিংহ বিভাগের হাওড় অঞ্চলে একই মৌসুমে কয়েকবার বন্যা হচ্ছে।

 

পরিস্থিতি মোকাবেলায় পানি প্রবাহের পথে বাধা দূর করা ও শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণসহ দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বন্যার প্রকৃতি গেল একযুগ ধরে পরিবর্তন হচ্ছে। বিভিন্ন অঞ্চলে ঘনঘন বন্যা হওয়ার পাশাপাশি সপ্তাহ দুয়েক বা কখনও মাসব্যাপী স্থায়ী হচ্ছে সেই বন্যা। আবার প্রতি বছর একই অঞ্চল একাধিকবার বন্যায় আক্রান্ত হচ্ছে।

 

বন্যায় প্রত্যেক বছর দেশের অর্ধেকেরও বেশি এলাকা প্লাবিত হয়। যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, দেশের উত্তরাঞ্চলের পর সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ মৌসুমি বন্যার অন্যতম এলাকা হয়ে উঠছে।

সংস্থাটির ২০১৯ সালের বন্যার রেকর্ড অনুযায়ি, জামালপুরে দুই দফা বন্যা হয়েছে। একই সময়ে সুনামগঞ্জে প্রথম দফায় ৭দিন ও দ্বিতীয় দফায় ৩দিন বন্যা হয়। পরের বছর জামালপুরে প্রথম দফায় ৯দিন ও দ্বিতীয় দফায় ৪০দিন এবং সুনামগঞ্জে কয়েক দফা বন্যা হয়েছে। ২০২১ এবং ২২ সালেও দফায় দফায় বন্যার কবলে পড়েছে। এই দুটি জেলা সহ সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন স্থানে এবছর দফায় দফায় বন্যা হয়েছে হচ্ছে বলে জানান ।

 

বন্যার ধরণ পরিবর্তন ও নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পেছনে ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে অতিবৃষ্টি এবং মনুষ্যসৃষ্ট কারণ রয়েছে বলে জানালেন বুয়েট এর পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক এ.কে.এম. সাইফুল ইসলাম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিকল্পনা করে এখনই পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে দিন দিন। তাই নদীর নাব্যতা সংকট দূর করা, জলাভূমি সংরক্ষণ, পানিপ্রবাহের বাধা দূর করাসহ দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নেয়ার পরামর্শ দিলেন তারা।

 

Print Friendly and PDF