প্রকাশ: ৮ জুলাই, ২০২৪ ৩:৩০ : অপরাহ্ণ
দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি নেই। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই ডুবছে নতুন নতুন এলাকা। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে চরম দুর্ভোগে রয়েছে লাখ লাখ মানুষ। এদিকে, গেল কয়েক দিনে বৃষ্টি কম হওয়ায় সিলেট বিভাগে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে, দুর্ভোগ কমেনি বানভাসীদের।
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদ ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। নদীর পানি উপচে জেলার সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এতে ২৮টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। বাড়িঘর পানিতে ডুবে থাকায় উঁচু স্থান ও বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে অনেকে।
লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপদসীমার নীচে থাকলেও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ৫টি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে আছে অন্তত ২০ হাজার পরিবার। তিস্তা নদীর আদিতমারীর মহিষখোচা স্পার বাধে ধস দেখা দিয়েছে। তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ ফেলে ধস ঠেকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ধরলা নদীর শহর রক্ষা বাধেও ধসের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নাগেশ্বরী উপজেলার দুটি পয়েন্টে বেরিবাধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে আছে বড়িঘর রাস্তাঘাট। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছে বানভাসিরা।
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া নদীসহ চলন বিল অঞ্চলে নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এতে ৫টি উপজেলায় ৩ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন।
জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পানিবন্দী হয়ে আছে অন্তত ২ লাখ মানুষ। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছে বানভাসীরা। ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত রোগ।
টাঙ্গাইলে যমুনা ও ঝিনাই নদীর পানি বেড়ে তলিয়ে আছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলী জমি। চরাঞ্চলে পানিবন্দী হয়ে আছে অনেকে।
এদিকে, গেল কয়েক দিন বৃষ্টি কম হওয়ায় সিলেট নগরীর জলাবদ্ধ এলাকা থেকে পানি সরে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। পানি কমলেও বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ কমেনি, বন্যার পানিতে অনেকেরই ঘরবাড়ি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেড়েছে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব।