চট্টগ্রাম, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ , ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জকিগঞ্জে বাঁধ ভেঙে তলিয়েছে ৮৭ গ্রাম, দুর্ভোগে কয়েক লাখ মানুষ

প্রকাশ: ৫ জুলাই, ২০২৪ ২:৪৩ : অপরাহ্ণ

 

সিলেটের জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়েছে ৮৭ গ্রাম। দুর্ভোগে কয়েক লাখ মানুষ। এতে অবনতি হয়েছে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি। এদিকে সুনামগঞ্জে পানি কমলেও কমেনি দুর্ভোগ। রয়েছে ত্রাণ না পাওয়ার আক্ষেপ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৬টি পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের ৭১ সে.মি. সিলেট পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ৮ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে ১৫২ সে.মি, এ নদীর শেওলা পয়েন্টে ৪৭ সে. মি.ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ১০৩ সে. মি.ও শেরপুর পয়েন্টে ১৫ সে.মি. বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

গত বুধবার থেকে উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢল কিছুটা কমেছে বলে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। এদিকে বুধবার ও বৃহস্পতিবার সিলেটে দিনের বেলায় কোন বৃষ্টিপাত হয়নি। গত ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকলেও কমেনি নদ নদীর পানি। নদীর পানি না কমায় সিলেটবাসীর মধ্যে বন্যার শঙ্কা কাটছে না।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার ১৩ উপজেলায় ৯৬টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত। ১ হাজার ১৬০টি গ্রামের ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৩ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত। জেলার ৬৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ২৩৪ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, গত কয়েকদিন ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টি হয়নি। সিলেটের নদীগুলো পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় উজানের পানি ধীর গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান বন্যায় সিলেটের ২৫ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

 

এদিকে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়েছে ফসলের খেত। বাড়িঘর ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধের ওপর। কুড়িগ্রামে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা। পানিবন্দি অন্তত ২০ হাজার মানুষ। যমুনার পানি বেড়ে ডুবেছে জামালপুরের তিন উপজেলার নিচু অঞ্চল। সিরাজগঞ্জে পানিবন্দি হয়ে আছেন নদী তীরের মানুষ।

Print Friendly and PDF