প্রকাশ: ২৯ জুন, ২০২৪ ২:২৬ : অপরাহ্ণ
এই সময়ে বাজারে বিভিন্ন সুস্বাদু রসালো ফল পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যের জন্য ফল খুব উপকারী। তবে অনেকেই ফরমালিনের ভয়ে ফল এড়িয়ে যান। এমনকি ঘরের শিশুকেও ফল খাওয়াচ্ছেন না। তবে ফল বা শাকসবজি ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয় না। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ফরমালিন শুধু প্রোটিনজাতীয় খাদ্য সংরক্ষণেই ব্যবহার করা হয়। ফরমালিনের ভয় ছাড়াই তাই ফল ও শাকসবজি খেতে পারেন। এরপরও ফল ও শাকসবজিতে ফরমালিন আছে সন্দেহ হলেও খেতে পারবেন। খাওয়ার আগে ভালোভাবে ফল ও সবজি ধুয়ে নেবেন। ফরমালডিহাইড পানিতে দ্রবণীয়; তাই ভালো করে ধুয়ে নিলে ফরমালিন দূর হয়।
ফল এবং শাকসবজিতে রাসায়নিক পদার্থ থাকলে কি করা যায় এ নিয়ে ইকবাল হোসেন জানান, ফল পাকাতে যেসব উপাদান (যেমন কার্বাইড) ব্যবহৃত হয়, তা সরাসরি খেলে ক্ষতিকর। কার্বাইড এসিটিলিন গ্যাস নির্গমনের মাধ্যমে একটা গরম পরিবেশ তৈরি করে; যাতে ফলের ভেতর ইথিলিন তৈরি হয় এবং ফল পেকে যায়। এ কার্বাইডের সঙ্গে ফলের সংস্পর্শ ঘটে না। তবে ফলের সঙ্গে সংস্পর্শ ঘটলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
কৃত্রিমভাবে পাকানো ফলের পুষ্টিগুণ কেমন, তা নির্ভর করে ফলের পরিপক্বতার ওপর। যদি পরিপক্ব ফল কৃত্রিম উপায়ে পাকান, সেটির পুষ্টিগুণ প্রাকৃতিকভাবে পাকা ফলের কাছাকাছিই হবে। কিন্তু যদি অপরিপক্ব হয়, তবে পুষ্টিগুণ অবশ্যই কমবে।
অনেক সময় আমরা দেখি, বিক্রেতারা শাকসবজি রঙিন পানিতে ডুবিয়ে দোকানে সাজিয়ে রাখেন। এগুলো ফরমালিন নয়, রং। এটি শাকসবজি সংরক্ষণে নয়, আরও রঙিন দেখাতে ব্যবহার করা হয়। অনেকে খুব সস্তা রং ব্যবহার করেন, যা অবশ্যই স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। তাই এসব রংমিশ্রিত শাকসবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
সতর্ক থাকতে কি করবেন