প্রকাশ: ২৩ জুন, ২০২৪ ৯:৫৩ : পূর্বাহ্ণ
৭৫ বছরে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পতাকাবাহী দলটির এ দীর্ঘ পথচলায় অর্জনের শেষ নেই, তবে কিছু ব্যর্থতা যে নেই তা নয়। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে জনমানুষের অন্তরে ঠাঁই পেতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ। দলটির শীর্ষ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের মতে যে আদর্শ আর উদ্দেশ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের জন্ম তা থেকে মোটেও দূরে সরে যাননি তারা। তবে সময় বদলেছে, বদলেছে প্রেক্ষাপট। তাই নতুন কার্যসূচি নিয়ে জনমানুষের অধিকার আদায়ে মাঠে আছেন তারা।
বাঙালি জাতির মুক্তির বারতা নিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকায় টিকাটুলির রোজ গার্ডেনে আত্মপ্রকাশ আওয়ামী মুসলিম লীগের। সভাপতি মজলুম নেতা মাওলানা ভাষানী আর সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। পূর্বপাকিস্তান ভিত্তিক এই বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিই পরে ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে নাম বদলে হয় আওয়ামী লীগ।
৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আর ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে গণমানুষের হৃদয়ে দ্রুতই জায়গা করে নেয় দলটি। যার প্রতিফলন ঘটে ৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নিরঙ্কুশ জয়ের মধ্যদিয়ে। যা বাঙালি জাতিকে নিয়ে যায় স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে।
‘৭৫ এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দলে কিছুটা ভাটা পড়লেও আবার গতি পায় ১৯৮১ সালে বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে।
দীর্ঘ এই সাড়ে ৭ দশকে আওয়ামী লীগের অর্জনের পাল্লা ভারি হলেও ব্যর্থতা যে একেবারেই কম তা বলা যাবে না। প্রবীণ নেতাদের মতে, সাধারণ মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই পেতে এখনো পথচলা বাকি অনেক।
২০০৮ সালে এক-এগারোর পর শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হলে আবারও সংকটে পড়ে দলটি। তবে সব বাধা পেরিয়ে ২০০৯ এ ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তারপর থেকে টানা ৪র্থ মেয়াদে ক্ষমতায় বঙ্গবন্ধুর দল।