প্রকাশ: ৩ জুন, ২০২৪ ১০:৪১ : পূর্বাহ্ণ
চলতি জুনেও সাগরে ১-২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যার মধ্যে একটি মৌসুমী নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পাশাপাশি এ মাসে ৪-৬ দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ঝড় হতে পারে। সেই সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে। রোববার জুন মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২২ মে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকার একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। যা পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’ পরিণত হয়ে দেশের উপকূলে তাণ্ডব চালিয়ে বিদায় নেয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি জুনে দেশে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আর সপ্তাহের প্রথমার্ধে সারাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষাকাল) বিস্তার লাভ করতে পারে। তবে এ মাসে ১-২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি মৌসুমী নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, এ মাসে দেশে ৪-৬ দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ঝড় হতে পারে। সেই সঙ্গে এ মাসে দেশে ১-২টি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু (৩৬-৩৮° সে.) থেকে মাঝারি (৩৮-৪০° সে.) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এবং দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত কিছুটা বেশি থাকতে পারে। এ ছাড়া বর্ষা মৌসুম হওয়ায় জুন মাসে ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সদ্য বিদায়ী মে মাসে সারাদেশে স্বাভাবিক (+১.৭%) বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরমধ্যে ২২ মে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকার একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, যা ২৩ মে সামান্য উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকার অবস্থান করে। পরে আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ২৪ মে সকাল ৯টায় পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত (১৫.১° উত্তর এবং ৮৮.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) এবং উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ২৫ মে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে একই এলাকায় (১৩.৫° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.২° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়।
পরবর্তীতে নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ২৫ মে রাত ৮টায় উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (১৮৮° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৫০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’ রূপ নেয় এবং এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ২৬ মে সকাল ৬টায় একই এলাকায় (১৯.৫° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। এরপর ২৭ মে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে রাত ৩টায় মোংলার দক্ষিণপশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করার সময় পটুয়াখালী ও খেপুপাড়ায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার এবং নারায়ণগঞ্জে দৈনিক সর্বোচ্চ ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
সূত্র: চ্যানেল 24