প্রকাশ: ২৬ মে, ২০২৪ ৪:১১ : অপরাহ্ণ
ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এদিয়ে আসছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন। বন্দরে নিজস্ব ‘অ্যালার্ট ৪’ জারি করা হয়েছে। খোলা হয়েছে চারটি কনট্রোল রুম । জেটি ও বর্হিনোঙ্গরে থাকা জাহাজের পণ্য উঠানামা-খালাস বন্ধ করা হয়েছে।
গত রাত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত কন্টেইনার ও বাল্র্ক কার্গ জাহাজগুলোকে বহি সমুদ্রে পাঠিয়ে দেওয়া শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতির নিয়ম অনুযায়ী বন্দরের চার নাম্বার সিগনাল দেখানোর পর প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয়ভাবে শুরু হয়ে যায়।
তাৎক্ষণিকভাবে কন্ট্রোল রুম করা কন্ট্রোল রুম খোলা হয় এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলোকে সংশ্লিষ্ট জরুরী কাজে তলব করা হয়।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ নাম্বার সিগন্যাল এবং বন্দরের লেভেল ৪ অ্যালার্ট জারি হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে প্রস্তুতিমূলক সকল কার্যক্রম চলছে হ্যান্ডেলিং ইকিউপমেন্ট গুলোকে শক্ত করে বাধা হচ্ছে ও নিরাপদে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। বন্ধ রয়েছে ডেলিভারি কার্যক্রম।
এছাড়া বন্দর চ্যানেল, জাহাজ, জেটি, ইয়ার্ড, শেড, হ্যান্ডলিং ইক্ইুপমেন্ট নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বড় জাহাজ সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের যেটি থেকে ১৬ টা বড় জাহাজকে সমুদ্রে পাঠিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি চ্যানেলকে নিরাপদ রাখতে সব লাইটার জাহাজ ও কার্গো ভেসেলকে কর্ণফুলী উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সদরঘাট টার্মিনাল থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা ও উপকূলে মাইকিং করে মানুষকে নিরাপদে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছে। বিশেষ করে নগরীর বায়েজিদ, বাটালী হিল, লালখানবাজার, ষোলশহরসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের অবিলম্বে সরে যেতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ৭৮৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে।
এছাড়া সিভিল সার্জন কার্যালয় জরুরি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রেখেছে।