প্রকাশ: ২৬ মে, ২০২৪ ১:৪৮ : অপরাহ্ণ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রে বাতাসে গতিবেগ ৯০ কিলোমিটার। যখন আঘাত হানবে উপকূলে, তখন ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিবেগ থাকবে বাতাসের। প্রচুর ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে পাহাড় ধ্বসের কথা জানানো হয়।
যেহেতু গতকাল রাতে এগিয়ে আসার গতিবেগ ছিল ১৬ থেকে ১৭ কিলোমিটার সাথে এখন দশ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে। তাই সকালে নয় দুপুরের পর উপকূল অঞ্চলে এর অগ্রভাগে প্রভাব পড়বে।
যখন উপকূলে আঘাত হানবে এর প্রধান অংশ তখন এর স্থায়িত্ব সাত থেকে আট ঘন্টা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
যেহেতু মধ্যরাতে জোয়ারের সময় তাই সে সময় উপকূল অতিক্রম করবে। তখন ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার।
ভয়াবহ তান্ডব হবে বলেও আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মূল কেন্দ্র আঘাত হানবে খেপুপারা পটুয়াখালীতে। এখন কেন্দ্রের বাতাসে গতিবেগ ৬৮ থেকে ৯০ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪০৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি.। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝড়ো হাওয়া সহ ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো।