চট্টগ্রাম, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজে নিষেধ রয়েছে

প্রকাশ: ২৩ মে, ২০২৪ ১১:২৩ : পূর্বাহ্ণ

 

হজ মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে সর্বোত্তম আমলের একটি। হাদিসে এসেছে, আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করা হলো- সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনা। জিজ্ঞাসা করা হলো, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহর  পথে জিহাদ করা। জিজ্ঞাসা করা হলো, তারপর কোনটি? তিনি বলেন, হাজ-ই-মাবরূর (মাকবুল হজ্জ)। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৪২৯)

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ পালিত হতে পারে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সোদি আরবে পাড়ি জমিয়েছেন ৩৪ হাজার ৭৪১ হজযাত্রী। মঙ্গলবার (২১ মে) পর্যন্ত মোট ৮৭টি ফ্লাইটে তারা সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। হজে গিয়ে মিকাত অতিক্রমের আগে পুরুষদের সেলাইবিহীন দুই টুকরো সাদা কাপড় আর নারীদের স্বাচ্ছন্দ্যময় শালীন পোশাক পরিধান করতে হয়। সেই সঙ্গে ইহরামের নিয়ত ও তালবিয়া পাঠ করতে হয়।

তবে হজে গিয়ে ইহরাম বাধার পর কিছু কাজে নিষেধ রয়েছে। হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, ইহরাম অবস্থায় আপনি আমাদের কী ধরনের কাপড় পরতে আদেশ করেন। রাসুল (সা.) বললেন- জামা, পায়জামা, পাগড়ি ও টুপি পরিধান করবে না। তবে কারও যদি জুতা না থাকে তাহলে সে যেন মোজা পরিধান করে এবং তার গিরার নিচের অংশটুকু কেটে নেয়। তোমরা জাফরান এবং ওয়ারস লাগানো কোনো কাপড় পরিধান করবে না। আর মুহরিম মহিলাগণ মুখে নেকাব এবং হাতে হাত মোজা লাগাবে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৭১৯)

 

পাশাপাশি ইহরাম বাঁধা অবস্থায় স্ত্রী সম্ভোগেও নিষেধ রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘হজ হয় নির্দিষ্ট কয়েকটি মাসে, অতঃপর এ মাসগুলোতে যদি কেউ হজ করার মনস্থ করে, তার জন্য হজের মধ্যে স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদ বৈধ নয় এবং তোমরা যেকোনো সৎ কাজই করো, আল্লাহ তা জানেন এবং তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা করবেন আর তাক্বওয়াই শ্রেষ্ঠ পাথেয়। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৭)

আবার ইহরাম বাধা অবস্থায় মাথা মুণ্ডনেও নিষেধ রয়েছে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর হজ ও ওমরা আল্লাহর জন্য পূর্ণ কর। অতঃপর যদি তোমরা আটকে পড় তবে যে পশু সহজ হবে (তা জবেহ কর)। আর তোমরা তোমাদের মাথা মুণ্ডন করো না, যতক্ষণ না পশু তার যথাস্থানে পৌঁছে। আর তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ কিংবা তার মাথায় যদি কোনো কষ্ট থাকে তবে সিয়াম কিংবা সদাকা অথবা পশু জবেহের মাধ্যমে ফিদয়া দেবে। আর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন যে ব্যক্তি ওমরার পর হজ সম্পাদনপূর্বক তামাত্তু করবে, তবে যে পশু সহজ হবে, তা জবেহ করবে। কিন্তু যে তা পাবে না তাকে হজে তিন দিন এবং যখন তোমরা ফিরে যাবে, তখন সাত দিন সিয়াম পালন করবে। এই হলো পূর্ণ দশ। এই বিধান তার জন্য, যার পরিবার মাসজিদুল হারামের অধিবাসী নয়। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ আজাবদানে কঠোর।

 

(সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৬)

 

Print Friendly and PDF