ঠাকুরগাঁওয়ে জিংক ধানের উপকারিতা ও গুনাগুণ সম্পর্কে কৃষকদের অবহিতকরণ
প্রকাশ: ২২ মে, ২০২৪ ১০:৩০ : পূর্বাহ্ণ
জাহিদ হাসান মিলু,স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর : ঠাকুরগাঁওয়ে বয়োফর্টিফাইড জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান বঙ্গবন্ধু ধান১০০ এর উপকারিতা, গুনাগুণ, উৎপাদন প্রক্রিয়া, ফলন সহ নানা বিষয়ে অবহিত করার মাধ্যমে কৃষক মাঠ দিবস করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিকালে হারভেস্টপ্লাস এর REACTS-IN প্রকল্পের আওতায় আরডিআরএস বাংলাদেশ এর আয়োজনে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের কৃষকদের নিয়ে মশরপাড়া গ্রামে এই মাঠ দিবস করা হয়।
এসময় বড়বাড়ি ইউনিয়ন ভেডারেশনের চেয়ারম্যান হড়প্রসাদ চন্দ্রের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন সোহেল। এছাড়া উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম, আরডিআরএস বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কর্মকর্তা মো. শাহীনূর ইসলাম, মো. রবিউল আলম, নেপালি রানি, স্থানীয় ডিলাররা সহ শতাধিক কৃষক কৃষানী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা, জিংক ধানের চাষাবাদ পদ্ধতি, উপকারিতা, মানবদেহে জিংকের প্রয়োজনীয়তা ও এর গুরুত্ব, ধানের বীজ উৎপাদন সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন এবং কৃষকদের জিংক সমৃদ্ধ ধান বেশি বেশি করে চাষ করার অনুরোধ করেন। এ ধানের উৎপাদন বারলে ও এই ধানের চালের ভাত খেলে মানুষের শরীরে দৈনন্দিন জিংক এর চাহিদা ও ঘাটতি পূরণ হবে।
তারা বলেন, একজন পুরুষ মানুষের শরীরের দৈনিক জিংক এর প্রয়োজন ১১ মিলি গ্রাম ও মহিলা বা নারীদের লাগে ৯ মিলি গ্রাম। কিন্তু দেখা গেছে মহিলারা পাচ্ছে ৪ মিলি ও পুরুষরা পাচ্ছে মাত্র ৫ মিলি গ্রাম। তাতে ৫-৬ মিলি গ্রাম জিংকের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। তাই সুস্থ সবল ও মেধাবী সমাজ গড়তে
সকলকে দিনে এবার হলেও জিংক সমৃদ্ধ চালের ভাত খাওয়ার আহ্বান করেন তারা।
আলোচনা শেষে অতিথিরা মিলে প্রদর্শনী প্লটের ধান কর্তন করে ও মাড়াই করে ফলন পরীক্ষা করেন। এতে হেক্টর প্রতি বঙ্গবন্ধু ধান১০০ জাতের ফলন ৭.৫ টন পান।