প্রকাশ: ৯ মে, ২০২৪ ৩:৩৫ : অপরাহ্ণ
এবারের দেশের তাপদাহ ছিল অসহনীয়। গরমে নানান ধরনের রোগে ভোগেন অনেকেই। এর মধ্যে ঘামাচি খুব স্বাভাবিক একটি সমস্যা গরমের। বিশেষ করে শিশুরা ঘামাচিতে নাজেহাল হয়ে যায়। এই সময়ে নেকেই অপেক্ষা করেন বৃষ্টির। কারণ প্রচলিত ধারণা আছে বৃষ্টিতে ভিজলে ঘামাচি মরা। আসলেই কী বৃষ্টি পানিতে ভিজলে কী হয় এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান।
গরমের অতিরিক্ত ঘামের কারণে ঘর্মগ্রন্থির নিঃসরণে বাধা বা ঘর্মগ্রন্থির প্রদাহও ঘামাচির কারণ। শীতল পানি ঘামাচির সাময়িক এবং আংশিক প্রতিকার দেয়। মতলেবুর রহমান বলেন, বৃষ্টির পানির তাপমাত্রা কম থাকার কারণেই এই পানিতে ভিজলে ঘামাচির যন্ত্রণার খানিকটা লাঘব হয়। কেবল বৃষ্টির পানি নয় শীতল পানি আরাম দেয় ঘামাচিতে। তাই ঘামাচির যন্ত্রণায় যারা ভুগছেন, তারা সুযোগ পেলে যেমন বৃষ্টিতে ভিজতে পারেন, তেমনি ঘরেও শীতল জলের ধারায় গা জুড়াতে পারেন।
বরফগলা পানি, বরফ মেশানো পানি কিংবা ঠান্ডা পানি মেশানো পানিতে গোসল করা যেতে পারে। গোসল করা সম্ভব না হলে আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা পানি ঢালতে পারেন। এ ছাড়া কাজে লাগাতে পারেন মাটির পাত্রের পানি। মাটির কলসে বা অন্য পাত্রে পানি রাখা হলে বেশ ঠান্ডা থাকে। এই পানিতেও গোসল করা যেতে পারে। পাতলা সুতি কাপড়ে বরফ জড়িয়ে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে আলতোভাবে স্পর্শ করা যেতে পারে। কিংবা এ ধরনের কাপড়কে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে সেটি দিয়ে শরীর মুঝে নিলেও উপকার পাওয়া যাবে।
ঘামাচি সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মো. মতলেবুর রহমান। এই পরামর্শগুলো মেনে চললে ঘামাচি থেকে মুক্তি পাবেন।
• সরাসরি রোদের উত্তাপ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। রোদে ছাতা ব্যবহার করুন।
• পাতলা সুতি কাপড়ের তৈরি ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
• সম্ভব হলে তুলনামূলক ঠান্ডা পরিবেশে থাকুন।
• বাতাস চলাচল করে, এমন জায়গায় ঘুমান।
• বারবার ত্বকে ঠান্ডা পানি প্রয়োগ করলেও ত্বক ভেজা রাখা যাবে না। অর্থাৎ, পানি দেওয়ার পর ত্বক মুছে ফেলতে হবে।
• ত্বকে তেল বা কোনো অয়েনমেন্ট লাগাবেন না।