চট্টগ্রাম, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ পঁচিশে বৈশাখ, বিশ্বকবির জন্মদিন

প্রকাশ: ৮ মে, ২০২৪ ১০:২৮ : পূর্বাহ্ণ

 

আজ পঁচিশে বৈশাখ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী। রবীন্দ্রনাথ শুধু সাহিত্য কিংবা সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলেই নয় বিবিধ অঙ্গনে ভূমিকা রেখে গড়ে দিয়েছিলেন বাঙালির জীবনবোধ। সংস্কৃতিজনেরা বলছেন, বাংলার পলিমাটি আর প্রকৃতি তার সৃষ্টিশীলতায় রসদ যুগিয়েছে। ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতা প্রকট হয়ে উঠার কালে আশ্রয় হয়ে উঠতে পারে রবীন্দ্রনাথের দর্শন।

 

বাংলা সালটি ১২৬৮, দিনটি ছিলো ২৫শে বৈখাশ। এই দিনেই কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি আলোতিক করে জন্ম নেয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরপর ঠাকুরবাড়ি থেকে রবির কিরণ ছড়িয়ে পরে বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি অধ্যায়ে, বাংলার বাইরে বিশ্বজুড়ে।

জগতড়োজা খ্যাতি ছাড়ানো কবিগর জীবনকে দেখেছেন প্রকৃতির ভিতর দিয়ে। ঋতু পরিক্রমার মাঝেই তিনি পেয়েছেন জীবনের গভীতম অনুভব। তাইতো তার সাহিত্যের পরতে পরতে অঙ্কিত হয়েছে প্রকৃতির নান্দনিক রূপবৈচিত্র্য।

 

গ্রীষ্মের তপ্তবীণা, বর্ষার নবপ্রাণের ছন্দ অথবা শরতের শষ্যভান্ডার, হেমন্তের ¯িœগ্ধতা, শীতের নির্জীব শূণ্যতা আবার বসন্তের নব জীবনের রং ও উচ্ছাস কবিকে দিয়েছে সৃষ্টিশীলতার রসদ। সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় নিপুণ হাতের ছোঁয়া দিয়ে তিনি শুধু নিজেকেই সাজাননি, সাজিয়েছেন বাঙ্গালীর মননশীলতাকেও। সার্ধশত বছরের বেশি সময় পেরিয়েও সে বাঁধন অটুট।

 

বাঙ্গালীর শতত সংকট সংগ্রামে আজো প্রেরণা আর আশ্রয় রবীন্দ্রনাথ। তাঁর বিপুল ও বৈচিত্র্যময় কর্মজগৎ যে বিভা ছড়ায় ধরিত্রীতে, তা ধারন করলে জগৎ থেকে হারিয়ে যাবে সব ক্ষুদ্রতা।

সাহিত্য ও অন্যান্য সৃষ্টিতে বারবার ক্ষুদ্রতার বিরুদ্ধে এক হয়ে থাকার কথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ।

 

Print Friendly and PDF