প্রকাশ: ১ মে, ২০২৪ ১১:৩৫ : পূর্বাহ্ণ
ন্যায্য পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ায়, দারিদ্র্য পিছু ছাড়ছেনা মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকদের। তাদের পরিশ্রমে প্রতি বছর চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও তাদের ছেড়ে যায়নি দারিদ্রতা। নিজস্ব ভূমি থেকে শুরু করে জীবনযাত্রার কোন পরিবর্তন হয়নি। চা শ্রমিকরা এখনো তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী দেশে চা বাগানের সংখ্যা ১৬৩টি। এরমধ্যে শুধু মৌলভীবাজারেই আছে ৯২টি। যেখানে কাজ করছে লক্ষাধিক শ্রমিক। বছরের পর বছর গায়ের ঘাম ঝরিয়ে শিল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তারা। তবে, সমাজের মূল ধারা থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে মৌলভীবাজারের চা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
চা বাগানে কর্মরত লক্ষাধিক চা শ্রমিক দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও তাদের নানা বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। নিজস্ব ভূমি থেকে শুরু করে জীবন যাত্রায় কোন বদল আজও হয়নি। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে চা পাতা তুলে যে পারিশ্রমিক পায় তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খায় চা শ্রমিকরা। আছে বেতন বৈষম্য। দীর্ঘদিনেও বাড়েনি কোন সুযোগ-সুবিধা।
শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জানালেন, আন্দোলন করে দৈনিক পারিশ্রমিক ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা করা হয়েছে। যা দিয়ে প্রতিটি পরিবারের ৫-৬ জনের সংসার চালানো কঠিন।
বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম জানালেন, চা শ্রমিকদের আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। এছাড়া কর্ম ক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
প্রায় সাড়ে চার লাখ চা শ্রমিক রয়েছে এই জেলায়।