চট্টগ্রাম, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪ , ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওরে চলছে পাকা ধান ঘরে তোলার উৎসব

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:০৪ : পূর্বাহ্ণ

 

কিশোরগঞ্জের হাওরে চলছে পাকা ধান ঘরে তোলার উৎসব। বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ে এখন ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণিরা। ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। ধান কাটা মারাই কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের হাওরই এখন দিনরাতের ঠিকানা। নানা দুর্ভোগও আছে।এদিকে সুপেয় পানির সংকটের পাশাপাশি বজ্রপাত থেকে রক্ষায় কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই।

 

কিশোরগঞ্জের হাওরের দিগন্ত জোড়া মাঠে এখন সোনালী ধানের সমারোহ। চারপাশ জুড়ে পাকা ধানের ঘ্রাণ। প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে কৃষকরা মেতে উঠেছেন সেই ধান ঘরে তোলার উৎসবে। ধান কাটা, মাড়াই ও শুকিয়ে গোলায় তুলতে ব্যস্ততা তাদের।

চলতি মৌসুমে কিশোরগঞ্জে ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষকরা। বাজারে ধানের ভালো দাম পেলে লাভের আশা করছেন তারা।

 

ধান কাটা মারাইয়ের এই মওসুমে হাওরই হয় কৃষকদের কয়েকমাসের ঠিকানা। প্রায় ৪৫ হাজার কৃষি শ্রমিকের অস্থায়ী ঠিকানা এখন হাওর। ফলে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। সুপেয় পানির সংকটের পাশাপাশি তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। এছাড়া হাওড়ে বজ্রপাত থেকে রক্ষায় টেকসই ছাউনি না থাকায় আতঙ্কে থাকতে হয়। এছাড়া বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কাও রয়েছে।

 

এদিকে কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শাহীনুল ইসলাম জানান জমির শতকরা ৮০ ভাগ ধান পাকলে কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ। সুপেয় পানি ও বজ্রপাত নিরোধক ছাউনিসহ যে সমস্যা আছে পর্যায়ক্রমে কৃষকদের সব সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

এখন পর্যন্ত হাওরের ১০ ভাগ জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছে কৃষকরা। মে মাসের মধ্যে হাওরের ধান কাটা মারাই শেষ হবে বলে জানা গেছে।

 

Print Friendly and PDF