প্রকাশ: ২৬ মার্চ, ২০২৪ ১১:০৪ : পূর্বাহ্ণ
মহান স্বাধীনতা দিবস আজ। বাংলাদেশের ও বাঙালির চির অমলিন গৌরবের দিন। একাত্তর সালের ২৬শে মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাঁর ডাকে স্বাধীনতাকামী বাঙালি পাকিস্তানী সেনাদের বিরুদ্ধে ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ করে। বাংলাদেশ নামের স্বাধীন রাষ্ট্রের যাত্রা শুরু হয় আজকের দিনেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সঠিকভাবে প্রসারিত করা গেলে স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হবে বলেই মনে করেন একাত্তুরের বীর সেনারা।
বাঙ্গালীরা মুক্তি চেয়েছিলো। দ্বিজাতিতত্ত্বের অবৈজ্ঞানিক ধারনা থেকে সৃষ্ট পাকিস্তান নামক নরকবাস থেকে বেড়িয়ে এসে স্বাধীন ভূখন্ডে নি:শ্বাস নিতে চেয়েছিলো। স্বাধিকার আন্দোলনে রাজপথে নেমে এসেছিলো। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের মাধ্যমে বাঙালির স্বাধীনতার সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলন যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, তখন তা নস্যাৎ করতে পাকিস্তানী সামরিক শাসকরা একাত্তরের ২৫শে মার্চ রাতে বাঙালি নিধনযজ্ঞ শুরু করে। সেই ভয়ংকর জেনোসাইডের রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকেও গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানী সেনারা। কিন্তু তার আগেই শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বার্তা ছড়িয়ে দেন সর্বত্র।
যদিও স্বাধীনতার আহবান সুচিত হয়েছিল তারও প্রায় তিন সপ্তাহ আগে, ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে। বঙ্গবন্ধুর সেই ঘোষণার পরই মুক্তির আকাঙক্ষায় সশস্ত্র সংগ্রামের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয় বাঙালি। ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বাঙালি নিধনযজ্ঞ শুরুর পরই প্রিয় মাতৃভুমিকে স্বাধীন করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বঙ্গ সন্তানেরা।
মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে দু’লাখ নারীর সম্ভ্রম আর তিরিশ লাখ শহীদের রক্তের চরম মূল্য দিয়ে আসে প্রিয় স্বাধীনতা। একাত্তুর তাই আজও বাঙালির সাহস আর বীরত্বগাথার এক অন্য নিদর্শন।
যদিও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি আজ সক্রিয় নানা ভাবে। তারপরও আশা হারায়নি মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনারা।