প্রকাশ: ১৯ মার্চ, ২০২৪ ২:৪৩ : অপরাহ্ণ
সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৩০ টাকা। যেখানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস সেখানে পেঁয়াজের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতা সাধারণ। এদিকে আমদানিকারকরা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা মধ্যে চলে আসবে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে হিলি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ ব্যাপক। একসপ্তাহ আগে যে দেশীয় পেঁয়াজ খুচরা পর্যায়ে দাম ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। এখন সেই পেঁয়াজ মানভেদে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।
খুচরা বিক্রেতা মোকারম হোসেন জানান, প্রতিদিন সকালে পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে বিক্রি করি। রমজান শুরু থেকেই প্রতিদিন ৫ টাকা করে দাম কমে আসছে। তাই কম দামে কিনে কম দামেই বিক্রি করি। মঙ্গলবার সকালে মান ভেদে পাইকারি বাজার থেকে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় কিনে ৫ টাকা লাভে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছি।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা দিনমজুর ওয়াহেদুল ইসলাম জানান, রমজান শুরু হলেই সবকিছুর দাম বাড়ে, এবারও সবকিছুর দাম বেড়েছে। কিন্তু বাজারে এসে দেখলাম পেঁয়াজের দাম কমেছে। পেঁয়াজের মতো অন্যান্য পণ্যের দাম কমলে ভালো হতো।
পাইকারি পিঁয়াজ বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, ভারত পেঁয়াজ রাপ্তানি বন্ধের পর থেকেই বাজার অস্থির হয়ে পড়ে। গত কয়েকদিন থেকে দেশীয় কৃষকের পেঁয়াজ উঠা শুরু করায় দাম কমতে শুরু করেছে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, ভারত অভ্যন্তরে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয়ায় দেশটির অভ্যন্তরে দাম বৃদ্ধি পায়। ফলে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশটির সরকার গত বছরের ৯ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।
তিনি আরও জানান, চলতি মাসে ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে। আগামী এপ্রিল মাস থেকে আবারও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। আমদানি শুরু হলে ক্রেতা সাধারণ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।