প্রকাশ: ১৬ মার্চ, ২০২৪ ১১:০১ : পূর্বাহ্ণ
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরে ২১ ফুট লম্বা এবং ৯ ফুট প্রশস্ত কাঁঠালের ভাস্কর্য নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। এক মাসের কিছু বেশি সময়ের প্রচেষ্টায় বিএডিসির অভ্যন্তরে এই ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। এদিকে বিশাল আকৃতির ভাস্কর্যটি দেখতে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী সেখানে ভিড় করছেন। ভাস্কর্য দেখতে এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলের চারাগাছ।
বিএডিসির কর্মকর্তারা জানান, গুণগত মানেও সেরা ও সুমিষ্ট ফল হিসেবে দেশের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরেও এ ফল রপ্তানি করা হচ্ছে। জাতীয় এই ফল রপ্তানি ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে উৎসাহ বাড়ানোর জন্যই মূলত গত ১৫ জানুয়ারি বিএডিসি অভ্যন্তরে এ কাঁঠালের ভাস্কর্য তৈরি শুরু হয়।
তারা জানান, ভাস্কর্যটি নির্মাণের পর সাধারণ মানুষের জন্য এটি খুলে দেয়া হয়। এরপর থেকেই প্রতিদিন শত শত মানুষ এই ভাস্কর্য দেখতে ভিড় করছেন।
বিএডিসির উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্রে যুগ্ম পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জাতীয় ফলের প্রতি মানুষের উৎসাহ সৃষ্টির জন্য ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়েছে। এটি নির্মাণের পর থেকে এখানে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা আসছেন। এর সাথে এখন কাঁঠালের চারারও বিক্রি বেড়েছে। তারা ভাস্কর্য দেখা শেষে কাঁঠালের বিভিন্ন জাত সংগ্রহ করছেন।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (উদ্যান) মো. ইসবাদ বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই কাঁঠালের ভাস্কর্য দেখে দেশের মানুষ কাঁঠালের গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ হবে। এতে উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া কাঁঠালের বহুমুখী ব্যবহার যদি নিশ্চিত করা যায়, তাহলে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব হবে।