চট্টগ্রাম, সোমবার, ২০ মে ২০২৪ , ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত; অভিমত হাইকোর্টের

প্রকাশ: ১৩ মার্চ, ২০২৪ ১১:৪৯ : পূর্বাহ্ণ

 

মহান আল্লাহ তায়ালা, মহানবী (সা.), পবিত্র কোরআন শরিফ, ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম নিয়ে কটূক্তি তথা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়নের বিষয়ে অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট। মহানবীকে (সা.) নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য নিয়ে কুষ্টিয়ার একজনের জামিন আবেদনের বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে এমন মতামত দেন হাইকোর্ট।

 

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত পর্যবেক্ষণে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’র আইনে উপরোক্ত অপরাধের বিষয় প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে, পবিত্র কোরআন শরিফ, নবী-রাসূলসহ সব ধর্মগ্রন্থের বিষয়ে কটূক্তি করলে এই আইনের ধারায় জামিন অযোগ্যসহ সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধানে মত দিয়েছেন আদালত।

 

 

আদালত বলেছেন, পূর্ববর্তী আইনে এটি জামিন অযোগ্য ধারা ছিল। বর্তমান আইনে ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়ে কটূক্তি করলে জামিনযোগ্য ধারা হওয়ার ফলে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।

প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একটি আইডি থেকে গত ২ নভেম্বর নাফিসা চৌধুরী নামে এক নারী মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করেন। ওই পোস্টে সেলিম খান নামে এক ব্যক্তি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। ওই মন্তব্যের কারণে তার বিরুদ্ধে দুইদিন পর কুষ্টিয়ার ভেড়ামাড়া থানায় মামলা করেন হানিফ শাহ নামে এক ব্যক্তি। তদন্ত শেষে গত ৩১ ডিসেম্বর আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। তবে ফেসবুক আইডি থেকে যে নারী এই কটূক্তি করেছেন তাকে মামলার আসামি করা হয়নি।

 

 

এই মামলায় গত ১৩ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার দায়রা জজ রুহুল আমীন আসামি সেলিমের জামিন না মঞ্জুর করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। এরপরই গত ৮ জানুয়ারি জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে আদালত।

ওই রুলের শুনানিতে মামলার নথি পর্যালোচনা করে হাইকোর্ট দেখতে পান যে, পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ থাকার পরেও চার্জশিট থেকে নাফিসা নামের ওই নারীর নাম বাদ দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরপরই হাইকোর্ট ওই নারীকে এই মামলার চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করতে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

এ প্রসঙ্গে হাইকোর্ট রায়ে বলেছে, আলোচ্য মামলায় এটি একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ ছিল। যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সংঘটন করা হয়েছে।

 

Print Friendly and PDF