চট্টগ্রাম, রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোজা রেখে কি ইনহেলার ব্যবহার করা যাবে, যা বলছেন চিকিৎসক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ, ২০২৪ ১০:৪৮ : পূর্বাহ্ণ

 

শুরু হয়েছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র রমজান মাস। এ মাসে প্রাপ্তবয়স্ক সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রোজা রাখেন। ফজরের আগ মুহূর্ত থেকে শুরু করে সন্ধ্যায় মাগরিব পর্যন্ত না খেয়ে রোজা পালন করেন। তবে শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে অনেকের রোজা রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। আবার কারও কারও রোজা রাখা গেলেও এ অবস্থায় বিভিন্ন ওষুধ সেবন করতে হয়।

অনেকেরই শ্বাসজনিত রোগ থাকে, যেমন অ্যাজমা ও ফুসফুসের প্রদাহজনিত সিওপিডি ও কাশি থাকে। এ ধরনের সমস্যায় সাধারণ ইনহেলার ব্যবহার করা হয়। যা মুখ দিয়ে গ্রহণ করতে হয়। এ কারণে অনেক রোগীরই প্রশ্ন―রোজা রেখে ইনহেলার ব্যবহার করা যাবে কিনা।

সম্প্রতি এ ব্যাপারে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজধানীর ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সাইফ হোসেন খান। এবার তাহলে রোজা রেখে ইনহেলার ব্যবহার করার ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।

 

ইনহেলার কী: এটি হচ্ছে শ্বাসের মাধ্যমে ওষুধ গ্রহণের জন্য ছোট্ট একটি যন্ত্র। এতে সালবিউটামল বা সালমেটেরল বা স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ থাকে। এই ওষুধ এমনভাবে প্রক্রিয়াজাত থাকে, যা গ্যাস হিসেবে মুখ দিয়ে গ্রহণ করতে হয়। ওষুধ মিশ্রিত গ্যাস শ্বাসনালীতে প্রবেশ করার পর শ্বাসনালির সংকোচন প্রতিরোধ হয়।

 

ইনহেলার ব্যবহার করলে কী রোজা ভেঙে যাবে: রোজা রেখে ইনহেলার ব্যবহার করা নিয়ে মতবিরোধ ছিল। তবে বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামিক পণ্ডিত একমত হয়ে জানিয়েছেন, যদি কারও শ্বাসজনিত দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা থাকে যেমন, অ্যাজমা ও সিওপিডি থাকে, তাহলে তিনি ইনহেলার ব্যবহার করতে পারবেন এবং এতে রোজা ভাঙবে না। এ বিষয়টি বিভিন্ন মেডিকেল জার্নালেও প্রকাশ হয়েছে।

এছাড়া কেউ যদি রোজার সঠিক অংশ হিসেবে ঠিকভাবে ওষুধ গ্রহণ না করেন, তাহলে ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে পারে। তখন ওই ব্যক্তির পক্ষে রোজা রাখা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। তবে মূল কথা হচ্ছে, ইনহেলার খাদ্যের পরিপূরক নয়।

 

ইনহেলার ব্যবহারের নিয়ম: অধিকাংশ অ্যাজমা ও সিওপিডির ওষুধ দিনে দুবার গ্রহণ বা সেবন করতে হয়। এ জন্য রোজার সময় চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে সেহরি ও ইফতারের সময় ইনহেলার নেয়ার সময় নির্ধারণ করে নিতে পারেন। আবার সালবিউটামলজাতীয় ইনহেলার যেসব উপসর্গ অনুযায়ী সেবন করতে হয়, সেসব রোজা রাখা অবস্থায় নিলে তাতে রোজা ভাঙে না।

ধর্মীয়ভাবে এ ক্ষেত্রে যেহেতু কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, এ জন্য চিকিৎসার অংশ হিসেবে এই ধরনের রোগীকে যদি কোনো চিকিৎসক ইনহেলার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তাহলে সেটি পালন করা উচিত।

 

Print Friendly and PDF