প্রকাশ: ১০ মার্চ, ২০২৪ ১১:২১ : পূর্বাহ্ণ
পদ্মাসেতু চালুর পর যাত্রী সংকটে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বৃহত্তর বরিশালের নৌরুটগুলো। সড়ক যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় নৌপথে ভ্রমণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন যাত্রীরা। তবে সংশ্লিষ্টরা জানালেন, জ্বালানি তেলের দাম কয়েক দফা বেড়ে যাওয়ায় লঞ্চ ভাড়া বেশি, তাই যাত্রী কম। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে জ্বালানী তেলের দাম কমানোর দাবি জানালেন মালিকরা।
ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে দক্ষিণাঞ্চল ও ঢাকার মধ্যে প্যাডেল স্টিমার দিয়ে যাতায়াতের সূচনা হয়। যাত্রী পরিবহন শুরু হয় আরও পরে। ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি সাধারণ মানুষ ঢাকা-বরিশাল নৌপথে যাতায়াত শুরু করে। গত শতকে এই রুটে যুক্ত হয়েছে লঞ্চ। একের পর এক আধুনিক বিলাসবহুল লঞ্চ বুড়িগঙ্গা-মেঘনা-পদ্মা-কীর্তনখোলার বুক চিড়ে দাঁপিয়ে ছুটে চলে। সোনার হরিণে পরিণত হয় লঞ্চের টিকিট।
পদ্মা সেতু চালুর পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। দ্রুত কমতে থাকে বৃহত্তর বরিশালের বিভিন্ন নৌরুটের যাত্রী। বন্ধ হতে থাকে একের পর এক নৌরুট। তবে, নৌপথে ভ্রমণ আরামদায়ক হওয়ায় এখনও লঞ্চের বিকল্প দেখছেন না এক শ্রেণির যাত্রী।
এ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চের সুপার ভাইজার সেলিম মাহমুদ বলছেন,পদ্মা সেতু চালু এবং জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে লঞ্চের ভাড়া বেড়েছে। এতে যাত্রী একেবারেই কমে গেছে। ফলে জীবিকা নিয়ে শংকা দেখা দিয়েছে তাদের। জ্বালানী তেলের দাম কমানো ছাড়া এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয় বলে জানালেন লঞ্চ মালিক সমিতির পরিচালক রিয়াজ উল কবির। ভাড়া না কমলে লঞ্চের যাত্রী একসময় শূণ্যের কোঠায় নেমে যাবে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।