প্রকাশ: ১০ মার্চ, ২০২৪ ১০:২৭ : পূর্বাহ্ণ
মার্কিনিদের বাজারে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানি দেশ হিসেবে প্রতিযোগিতায় ঠিক কতটুকু সক্ষম তা খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। যার অনুসন্ধান করতে দেশটির বাণিজ্য কমিশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকেই যা নিয়ে শুরু হয় প্রাথমিক কাজ।
মার্কিন সংস্থাটি শুনানির আগে নিজ সমর্থনে বাংলাদেশের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। জবাবও দিয়েছে বিজিএমইএ। সংগঠনটির সভাপতির লেখা চিঠিতে সুপারিশ করা হয়, প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা খতিয়ে দেখতে শুধু খরচ ও দক্ষতার বিষয়টি নয়, সামগ্রিক চিত্রটি বিবেচনায় নেবার।
১২ পাতার চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে আছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি এলইইডি সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানা। সংখ্যায় ২০৯টি। এর মধ্যে ১৮টি বিশ্বের শীর্ষে। আরও ৫০০ কারখানার এলইইডি সনদ প্রক্রিয়াধীন। রানা প্লাজার ট্র্যাজেডির পর শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়ন, কাজের পরিবেশসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধার অগ্রগতিও তুলে ধরা হয়।
চিঠিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উৎপাদন খরচ অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। বিদ্যুতের দাম ২৫ শতাংশ, গ্যাসের ২৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং জ্বালানি তেলের দাম ৬৮ শতাংশ বেড়েছে। বেড়েছে পরিবহন খরচও। এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার প্রভাব পড়েছে সার্বিক উৎপাদন খরচে। এ নিয়ে আগামীকাল ১১ মার্চ শুনানির কথা আছে ওয়াশিংটনে।
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান এ বিষয়ে চ্যানেল 24-কে বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। এ বিষয়গুলো তুলে ধরে আমরা তাদের জানিয়েছি, তোমরা তোমাদের আমদানিকারকদের বলো দাম বাড়াতে।
গত বছর থেকে মার্কিনিদের একাধিক সফরে গুরুত্ব পেয়েছে শ্রম অধিকার ও শ্রমিকের কাজের সার্বিক পরিবেশের ইস্যুটিও। এ নিয়ে জানতে চাইলে চ্যানেল 24 কে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, প্রতিযোগিতা বিরোধী কিছু তদন্তে উঠে এলে তা আমলে নেবে বাংলাদেশ।