প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৩:০৯ : অপরাহ্ণ
আজ পহেলা ফাল্গুন, বাংলার ভালোবাসা দিবস। প্রকৃতিতে লেগেছে নবপ্রাণের ছোঁয়া। গাছের ধূসর পাতারা ঝরে পড়েছে এরই মধ্যে। কচি পাতা উঁকি দিচ্ছে শাখা-প্রশাখায়। ফুলের বাগানেও এখন অলির গুঞ্জরণ। আগুন রাঙা পলাশ আর শিমুল প্রস্ফুটিত শাখে শাখে। তারই মাঝে আনমনে ডেকে চলেছে কোকিল। বার্তা দিচ্ছে, বসন্ত এসে গেছে।
প্রকৃতি খুলেছে তার দখিন-দুয়ার. ফাগুনের মিষ্টি হাওয়ায় পাতা ঝরার শব্দ..শীতের জীর্ণতা ঘুচিয়ে বসন্তের বার্তা.. ফুলের কানে ভ্রমর এসে যেনো বলে দিচ্ছে নিজের রঙ্গে প্রকৃতিকে সাজিয়ে নেয়ার দিন এসে গেছে। ঋতুরাজ বসন্ত জাগ্রত বাংলার দ্বারে।
বসন্তের আগমনী বার্তায় প্রকৃতিতে প্রাণ ফিরছে। বসন্ত মানেই প্রাণচঞ্চলতা, প্রকৃতিতে রঙের খেলা। অশোকে, পলাশে, শিমুলে উচ্ছাসের রং ছড়ায়। গাছে গাছে কচি পাতা আর আমের মুকুলের গন্ধে মাতাল হয়ে উঠে চারপাশ।
প্রকৃতির নিয়ম মেনেই ঋতু বদলায় তার রূপ আর সৌন্দর্য । তবে বসন্তের সৌন্দর্য যেন উপমাহীন। এই ঋতুতেই প্রকৃতি লাল, নীল, হলুদ, বেগুনি, বাসন্তি, সাদা কতোই না বাহারি ফুলের পসরায় সাজিয়ে দেয় চারপাশ। সেই ফুলের বাগানে ভ্রমর মনের আনন্দে গুঞ্জরণ করতে করতে মধু পানে মত্ত হয়ে উঠে। দল বেধে পাখিরা গেয়ে উঠে মান ভাঙ্গানি গান। আর উঁচু গাছের মগডালে বসে কুহু কুহু ডাকে বসন্ত মুখর করে তোলে।
প্রকৃতিতে ঋতুর পরিবর্তন শুধুই দিন বদল নয়। উৎসবপ্রিয় বাঙালির মনোজগতেও রয়েছে এর বড় প্রভাব। তাই তো ঋতুরাজের আগমনীতে মতোয়ারা এখন সবাই। প্রকৃতির এমন মোহনীয় রূপের আভায় নিজেকে রাঙিয়ে নিতেই দল বেঁধে বেরিয়ে পড়েছেন প্রকৃতি প্রেমীরা।
ফাগুন হয়ে উঠুক নতুনভাবে জেগে উঠার প্রেরণা।