চট্টগ্রাম, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডা*কাত দলের তিন সদস্য এবং ১২ বছরের পলাতক আ*সামী গ্রে*প্তার : সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার

প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১০:২৫ : পূর্বাহ্ণ

 

পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নাজিরপুরের বৈঠাকাটা এলাকা থেকে আন্তজেলা ডাকাত দলের তিন জনকে এবং সাজাপ্রাপ্ত ১২ বছরের পলাতক এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার আসামীদের নামে একাধিক মামলা আছে বলে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাফুল ইসলাম জানান।
 

গেপ্তার হওয়া আন্তজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্য হলো শুভংঙ্কর অরফে শুভ চক্রবর্তি (৩৮) বরিশালের বানরীপাড়া থানার মরিচবুনিয়া গ্রামের সুশান্ত চক্রবর্তির ছেলে। মো: বারেক সিকদার(৩৯) বরগুনা জেলার বরগুনা থানার বড়ইতালা খাড়াকান্দা এলাকার জব্বার সিকদারের ছেলে এবং মো: সেলিম সিকাদর (৫৩) বরগুনা জেলার বরগুনা সদর থানার শিয়ালিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।

 

সংবাদ সম্মেলনের পুলিশ সুপার জানান, পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার বৈঠাকাটা এলাকার একটি হোটেল থেকে আন্ত জেলা ডাকাত দলের তিন সদস্য কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা তারা ডাকাতি, দস্যুতা ও চুরি সহ একাধিক মামলার কথা স্বীকার করে। তাদের সিডিএমএস পর্যালোচনা করে ও সংশ্লিষ্ঠ থানায় যোগাযোগ করে শুভংঙ্কর অরফে শুভ চক্রবতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, দস্যুতা ও চুরি সহ মোট ৮টি মামলা রয়েছে। বারেক সিকদারের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, দস্যুতা ও চুরিসহ মোট ৭টি মামলা যার মধ্যে ৪টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে এবং মো: সেলিশ সিকদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্ততি ও চুরি সহ ৬টি মামলা রয়েছে যার মধ্যে ১টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। তারা সবাই আন্ত জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।

 

অপর দিকে মঠবাড়িয়া থানায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ১২ বছরের পলাতক আসামী মো: রফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা সাজা হয়। এছাড়াও পিরোজপুর সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে  ২টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম আরো জানান, এছাড়া দীর্ঘদিন যাবত বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ ভাবে ডাকাতি করে আসছিলো। প্রত্যেক মামলায় আসামীরা চার্জশীটভুক্ত আসামী এবং বর্তমানে মামলাগুলো বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।

Print Friendly and PDF