প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১০:৫১ : পূর্বাহ্ণ
বান্দরবার ও কক্সবাজারের মিয়ানমার সীমান্তঘেঁষা এলাকায় আজও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সীমান্তের ওপার থেকে মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকে এ পর্যন্ত গোলগুলি শব্দ পাওয়া যায় নি। তবে জান্তা বাহিনী কখন পূনরায় হামলা করে এটিই স্থানীয়দের আতঙ্ক।
নানা সূত্রের খবরে জানা যায়- মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছ থেকে রাখাইনের তুমব্রু ও ঢেঁকিবনিয়া সীমান্ত চৌকি দখলে নেয়ার পর অন্য ঘাঁটিগুলোর দিকে এগুচ্ছে আরাকান আর্মি। লড়াইয়ে টিকতে না পেরে জীবন বাঁচাতে বুধবার বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশের ৬৪ জন সদস্য। সব মিলিয়ে দেশটির সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থার ৩২৮ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আটজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মিয়ানমারের ভেতরের যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলোতে। মর্টার শেল ও গুলি এসে পড়ছে ঘুমধুম ও তুমব্র“তে। আতঙ্কিত হয়ে মঙ্গলবার রাতে উত্তর ঘুমধুম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে ঘুমধুম ইউনিয়নের পশ্চিমকুল, কোনারপাড়া, মধ্যমপাড়া, ভাজাবনিয়া ও তুমব্রু বাজার এলাকার ২৭টি পরিবারের ১২০ জন সদস্য।
সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে ১০ই ফেব্র“য়ারি থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
মিয়ানমারের যুদ্ধের কারণে রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ও সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তায় বিজিবি ও আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে।