প্রকাশ: ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১২:২৪ : অপরাহ্ণ
ঋতু পরিক্রমায় এখন চলছে শীতকাল। যদিও শীত প্রায় শেষ। কিন্তু শীতের বিদায়ী মুহূর্তে এসেও শীতের অসুখ লেগেই রয়েছে। এ সময় অনেক মানুষের শরীরের পাশাপাশি চোখেও অ্যালার্জির সমস্যা হয়ে থাকে। চোখ খুবই স্পর্শকাতর জিনিস। এ জন্য চোখকে অবহেলা করা ঠিক নয়। গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গের জন্য যত্ন নেয়া জরুরি।
এ সময় চোখে কোন ধরনের সমস্যা হয় এবং সমস্যায় করণীয় সম্পর্কে একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন যশোরে চক্ষু ক্লিনিকের কনসালট্যান্ট ডা. আহসান কবির। এবার তাহলে এ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
চোখে পানিস্বল্পতা: শীতের বাতাসে শুষ্ক ভাব থাকে। এতে অন্যান্য সমস্যার সঙ্গে ড্রাই আইয়ের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে পানিস্বল্পতা থেকে চোখ খচখচ, জ্বালা-পোড়া ও যন্ত্রণা হওয়ার মতো সমস্যা হয়।
চোখের অ্যালার্জি: শীতে ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা থাকার জন্য গরম পোশাক পরা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এ ঋতুতে বেশি কাপড় পরা হয়। আর কাপড়ের তন্তু শরীরে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা সৃষ্টি করে। এছাড়া এ সময় আশপাশে থাকা ইটভাটার চিমনি থেকে নির্গত হওয়া ধোঁয়া, রাস্তার ধুলাবালির পরিমাণ অনেকাংশে বেড়ে যায়। যা কোনোভাবে চোখে প্রবেশের পর অ্যালার্জির সমস্যা হয়।
আবার এ সময় ফুল চাষও বেশি হয়। ফুলের পরাগরেণু বাতাসে উড়ে বেড়ায়। আর আশপাশে যদি ফুল বাগান থাকে তাহলে চোখে অ্যালার্জি হবেই। আবার খাল-বিল, নদী ও পুকুরের পানিও কমে যায়। সেসব পানিতে গোসলের কারণেও চোখে অ্যালার্জি হয়।
চোখ উঠা: শীতে ভাইরাসজনিত কারণে চোখ উঠা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ সময় চোখের নেত্রপর্দার (কনজাংটিভা) ঝিল্লি লাল আকার ধারণ করে, অঝোরে পানি পড়ে, পিচুটি হয়ে চোখে জ্বালা-পোড়া ও ব্যথাও হয়।
চোখ থেকে পানি ঝরা: শীতে অ্যালার্জি, চোখ উঠা, সর্দি-কাশি ও জ্বর হলে নাকের ভেতর থেকে ঝিল্লি প্রদাহ হয়ে নাক বন্ধ হওয়ার মতো পরিক্রম হয়। ওই সময় চোখ থেকে অঝোরে পানি ঝরে। এমনকি অতিবেগুনি রশ্মির (ইউভি রশ্মি) সমস্যাও হয়।
চিকিৎসা: শীতে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকে বলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের গুরুত্বপূর্ণ কর্নিয়া, লেন্স বা রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য চোখে যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবহেলা না করে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। সেই পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।
এর বাইরে ধুলাবালি ও সূর্যের অতি রশ্মি থেকে চোখ রক্ষা করতে চশমা পরতে পারেন। চোখ যেন শুষ্ক হয়ে না যায়, এ জন্য কিছুক্ষণ পর পর পানি দিয়ে চোখ-মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব বা মোবাইল ফোন ব্যবহারে চশমা ব্যবহার করুন। যতটা সম্ভব এসব ডিজিটাল ডিভাইস এড়িয়ে চলুন। আর যেকোনো প্রয়োজনে নিকটস্থ চক্ষু হাসপাতাল থেকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সুত্র: চ্যানেল২৪