প্রকাশ: ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১০:২৬ : পূর্বাহ্ণ
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি) আরও ৭ জন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৩ জনে।
মঙ্গলবার (৬ই ফেব্রুয়ারি) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। এদিকে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপির ১০ জন সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল ও কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারা সবাই গুলিবিদ্ধ।
এদিকে, গভীর রাতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি হয়েছে। ভোররাতের দিকে থামলেও সকালে আবার গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্ত এলাকাগুলোতে। এ কারণে আতঙ্কে আছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে চলে গেছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। বন্ধ রয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ির পাঁচটি স্কুল ও একটি মাদ্রাসা।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী আরাকান আর্মিসহ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সাথে সেদেশের সেনাবাহিনীর যুদ্ধ চলছে কয়েক মাস থেকে। সংঘর্ষ চলতি মাসের শুরুর দিকে তীব্র আকার ধারণ করে। জান্তার দখলে থাকা অনেক শহর ও এলাকা বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এতদিন এই যুদ্ধ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থাকলেও এখন তার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায়। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলা এসে পড়ছে দেশের ভেতরে। সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জলপাইতলীতে একটি বাড়ির রান্নাঘরে আঘাত হানে মিয়ানমার থেকে আসা একটি মর্টার শেল। বিস্ফোরণে নিহত হন হোসনে আরা নামে এক নারীসহ দুইজন। নিহত অপরজন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক নবী হোসেন।
সুত্র:বৈশাখী অনলাইন