প্রকাশ: ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৩:২৫ : অপরাহ্ণ
কিছুদিন সহনীয় থাকার পর আবারও বেড়েছে ডিম ও পেঁয়াজের দাম। ডিমের দাম ডজনে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে এখন তা ৯০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারে পাইকারি ডিম বিক্রেতা শিপন মিয়া বলেন, মুরগির খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ডিম উৎপাদনের খরচ বেড়েছে। এছাড়া শীতকালীন সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের হার বাড়ায় চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। এই দুই কারণে ডিমের দাম বাড়ছে।
এদিকে ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পরে নভেম্বর-ডিসেম্বরে উত্তপ্ত ছিল দেশের পেঁয়াজের বাজার। জানুয়ারি মাসে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম ৮০ টাকায় নেমে আসে। মাসের শেষে নতুন করে বাজারে পেঁয়াজের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।
পাড়া-মহল্লার খুচরা বাজারে বেশিরভাগ দোকানেই নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। পুরোনোর কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা বোরহান উদ্দীন বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ শেষের দিকে। নতুন হালি পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কিছুদিন সময় লাগবে। তাই বাজার দর বাড়তি।
এছাড়া সবজির ভরা মৌসুম চললেও বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৮০ টাকার ওপরে। যা সাধারণের নাগালের বাইরে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একটি মাঝারি আকারের লাউ ১০০-১২০ টাকায় খুচরা বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০-২০ টাকা বেড়েছে।
নির্বাচনের সময় সারাদেশে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছিল চালের দাম। সে সময় প্রতি কেজি চালের দাম ৬ টাকা পর্যন্ত বাড়ে। এরপর গত দুই সপ্তাহ ঢাকাসহ সারাদেশে মজুতবিরোধী অভিযান শুরু করে খাদ্য অধিদপ্তর। এ অভিযানের ফলে কোথাও কোথাও ধান ও চালের দাম কিছুটা কমেছে।
তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আগেই উচ্চমূল্যে থাকা চালের দাম কমেছে সামান্যই। বাজারে মিনিকেট চাল কেজিতে সাড়ে ৬ টাকা বাড়লেও অভিযানের পর কমেছে ২ টাকা।
সুত্র: চ্যানেল২৪