চট্টগ্রাম, বুধবার, ১ মে ২০২৪ , ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্রের জয় হয়েছে- রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ ৯:৪৬ : পূর্বাহ্ণ

 

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে, সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে নির্বাচন সফল করেছে। সফল নির্বাচনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

 

এসময় তিনি বলেন নির্বাচন ঘিরে একটি মহল সহিংসতা ও সংঘাতের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে। সংবিধান সমুন্নত এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করায় নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সফলভাবে নির্বাচন পরিচালনার মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক শক্তি আরও সুদৃঢ় হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় হয়েছে দেশের জনগণের, জয় হয়েছে গণতন্ত্রের।

 

 

তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে একটি মহল সহিংসতা ও সংঘাত সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের শান্ত-স্নিগ্ধ যাত্রাপথে বাধা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। তাদের গণতন্ত্র বিরোধী ও সহিংস কর্মকা- সাময়িকভাবে জনগণকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রাখলেও গণতন্ত্রের শাণিত চেতনা ভোটারদের ভোটদান থেকে বিরত রাখতে পারেনি। সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্যই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সকল পদক্ষেপ সার্থক হয়েছে।

নির্বাচন বর্জনকারী দলসমূহ ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক দলসমূহ সহিংসতা ও নৈরাজ্যের পথ পরিহার করে সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণ ও গণতন্ত্রের কল্যাণে অহিংস পন্থায় গঠনমূলক কর্মসূচি পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।

 

 

তিনি বলেন,  ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী দেশে যে নৃশংস সহিংসতা হয়েছিল তা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। এর মাধ্যমে আমাদের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ভুলুন্ঠিত করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনসহ পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সুস্পষ্ট ও কঠোর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থেকে মুক্তি পেয়েছি। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের নিষ্কণ্টক পথচলার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো উদার ও গঠনমূলক মনোভাব নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াবে এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।

 

 

দেশের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, গত দেড় দশকে যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে। আইকনিক পদ্মা সেতু, পায়রা সেতু, দ্বিতীয় মেঘনা, দ্বিতীয় গোমতী প্রভৃতি অসংখ্য সেতুসহ সড়ক, মহাসড়ক নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে, স্বাস্থ্য সেবা উন্নত হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিক, যুগোপযোগী গণপরিবহন মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে, জেন্ডার সমতা এবং নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে।

 

 

সুত্র:বৈশাখী অনলাইন

Print Friendly and PDF