চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেসব কারণে নারীরা বেশি ডিপ্রেশনে ভোগেন

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ১:০৪ : অপরাহ্ণ

সারা পৃথিবীতে ডিপ্রেশন এক ভয়াবহ ব্যাধি বলে স্বীকৃত। কমবেশি সবাই ডিপ্রেশনে ভুগে থাকেন। এটি এমন একটি বিষয় যা এড়িয়ে চলতে চাইলেও সম্ভব হয়ে ওঠে না। ডিপ্রেশনের একটি মূল কারণ শূন্যতা। এছাড়া দুঃখ, আগ্রহ বা আনন্দ হারিয়ে ফেলা, অপরাধবোধ, নিজেকে মূল্যহীন লাগা, ঘুম ও ক্ষুধায় বিরক্তি, ক্লান্তি, দুর্বল মনোযোগসহ বিভিন্ন কারণে ডিপ্রেশন হতে পারে। আবার এর প্রচলিত কিছু কারণ হলো- মস্তিষ্কের রসায়ন, হরমোনের পরিবর্তন, শারীরিক অসুস্থতা, পারিবারিক ইতিহাস, শৈশবের ট্রমা ও মাদক সেবন।

ডিপ্রেশন এমন একটি মানসিক ব্যাধি যা মানুষকে আত্মহত্যার দিকেও প্ররোচিত করে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

এ প্রসঙ্গে ভারতের কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. শর্মিলা সরকার বলেন, নারীরা ওবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডারে (ওসিডি) বেশি ভোগেন। ফলে অবসাদ থেকে শুরু করে দুশ্চিন্তা, মুড চেঞ্জ হওয়ার মতো সমস্যা বেশি দেখা যায়।

নারীদের এ সমস্যা বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, নারীরা হলো মাল্টি টাস্কার। একদিকে সংসার সামলানো থেকে শুরু করে অন্যদিকে অফিসও করতে হয় তাদের। যেখানেই থাকুক না কেন একসঙ্গে অনেক বিষয় ঘুরছে মাথায়। এ বিষয়গুলোই অনেক সময় সমস্যা তৈরি করে। এছাড়া নারীদের শরীরে হরমোনের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। এই হরমোনজনিত সমস্যার কারণেও নারীদের ডিপ্রেশন দেখা দেয়। আবার পিরিয়ডসের আগে ও পরে নারীর শরীর ও মনে বিশেষ কিছু পরিবর্তন হয়। সেটিও সমস্যা তৈরি করে।

গর্ভকালীন সময়ে নারীর শরীরে দেখা দেয় নানা পরিবর্তন। এ সময় শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন ঘটে যার থেকে সমস্যার তৈরি হয়। এক্ষেত্রে বারবার মুড চেঞ্জ হয়। আবার মাসিকচক্র বন্ধ হয়ে যাওয়া অর্থাৎ মেনোপজের পরও নারীর শরীরে হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। তখনও শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া নারীরা বেশিরভাগ সময়ই নিজেদের সমস্যা প্রকাশ করতে পারেন না। মুখ বুজে অনেক সময়ই তা জমিয়ে রাখেন। এর প্রভাব পড়ে মনের ওপর। যা একসময় ডিপ্রেশনে রূপ নেয়।

নারীর মানসিক সমস্যা সমাধানের বিষয়ে ডা. শর্মিলা জানান, এ সমস্যা দূর করতে নারীদের আরও বেশি স্বনির্ভর হতে হবে। ঘরবন্দি না থেকে পৃথিবীর স্বাদ নিতে হবে। নিজের মনের মতো করে জীবন উপভোগ করতে হবে। তবেই মনের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। আর যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।

Print Friendly and PDF