প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ১০:৩৭ : পূর্বাহ্ণ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাস বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র। গতকালও তারা শাহবাগে বাসে আগুন দিয়েছে। চক্রান্ত এখনও আছে, প্রতিদিনই আছে। কালো পতাকা মিছিল দেখি। কেন কালো পতাকা মিছিল? কার ক্ষতি করলাম। আমাদের লক্ষ্য উন্নত দেশ গড়ে তোলা। কোনো অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থাকলে মিটিয়ে ফেলুন, সবার সঙ্গে মিশে কাজ করুন।রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সঙ্গে এবং তাদের কল্যাণে কাজ করতে হবে। জাতির পিতার নেতৃত্বে স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। ৭৫ এর পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-আদর্শ ধ্বংস হয়।স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্লামেন্ট সদস্যদের দেশের ইতিহাস জানতে হবে, সংবিধান পড়তে হবে। কার্যপ্রণালি বিধি জানতে হবে। সংসদ সদস্যদের অনেক দায়িত্ব আছে। আমার কাছে ক্ষমতা হচ্ছে দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি দায়িত্ব। আমি জনগণের সেবক। বাবা বেঁচে থাকলে আজকের বাংলাদেশ দেখতে পারতেন। প্রত্যেক এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া দৃশ্যমান।
তিনি আরও বলেন, কোভিড, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, পাল্টাপাল্টি স্যাংশনের কারণে দেশে জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। প্রত্যেক দেশেই জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে, এটা সমস্যা। ২০০৯ থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত দেশে যে উন্নয়ন করেছি, সেটি সারা বিশ্বেই স্বীকৃত। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি জয়ী না হতো, তাহলে উন্নয়নের ধারা সব হারিয়ে যেতো। যেটা হয়েছিল ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে। আমার আস্থা-বিশ্বাস ছিল মানুষ আওয়ামী লীগকেই নির্বাচিত করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের নির্বাচন যেন অবাধ, নিরপেক্ষ হয় সে জন্য যথাযথভাবে চেষ্টা করেছি। কারণ, আন্তর্জাতিক কিছু স্যাংশন দৃষ্টির মধ্যে পড়েছিলাম। যে রাজনৈতিক দল জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ হত্যা করে, তাদের চেষ্টাই ছিল নির্বাচন যেন না হয়। তারা আন্তর্জাতিকভাবে কিছু বড় দেশের থেকে মদদ পাচ্ছিলো। কাজেই ওই প্রচেষ্টা যেন সফল না হয় এবং জনগণের ভোটে নির্বাচন যেন আরও সুষ্ঠু হয়, মানুষ যেন ভোট কেন্দ্রে আসে এবং ভোট নিয়ে যেন প্রশ্ন করতে না পারে, সেজন্য কাজ করেছি।
তিনি আরও বলেন, তাদের ধারণা ছিল ভোট যদি হয়েও যায়, তাহলে ক্রেডিবল নির্বাচন হবে না, এটা নিয়ে কথা উঠাবে; স্যাংশন দেবে। তাদের দুরভিসন্ধি মোকাবিলার জন্যই নির্বাচন উন্মুক্ত করেছি। যাদের মনোনয়ন দিয়েছি, তাদের অনেককেই আপনারা হারিয়েছেন। এদেশের মানুষ আপনাদেরই মানুষ। যারা নৌকার জন্য কাজ করেছে, তারা দলের প্রতি অত্যন্ত অনুগত ও বিশ্বস্ত। তাদের ওপর কোনো আক্রমণ এবং সন্ত্রাস যেন না হয়।
সবাইকে সতর্ক করে শেখ হাসিনা বলেন, যে দলের লোকই সন্ত্রাস করুক, কাউকে ছাড়বো না। এমনিতেই জ্বালাও-পোড়াও গোষ্ঠী আছে। এরকম করলে ফলাফল কারো জন্য ভালো হবে না। এমন সংঘাত আত্মঘাতী হবে।
তিনি বলেন, তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। এদের সঙ্গে আছে কিছু আঁতেল শ্রেণি, যারা অসাংবিধানিক শক্তি আনতে চায়। এতে নাকি তাদের দাম বাড়ে, চক্রান্ত কিন্তু শেষ হয়নি। স্বাধীনতাবিরোধিরা দেশের উন্নতি মেনে নিতে পারে না। দেশ যতো উন্নত হবে সেটা তারা মানতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদে জাতীয় পার্টির ১১জন আছে। একটি ফুটবল টিম হয়ে গেছে। ফুটবল খেলাও এখন ভালোই চলছে। সরকারি দলের অসুবিধা হলো কথা বলার সুযোগ বেশি নেই। বাইরে যারা থাকে তাদের কথা বলা সুযোগ বেশি থাকে। সংসদকে অর্থবহ করা এবং গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।