প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ৩:৫৯ : অপরাহ্ণ
নতুন বছরে পুঁজি বাজারের লেনদেন ও মূল্যসূচক উর্ধ্বমুখীভাব দেখা যায়। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসইতে পাঁচ কার্যদিবসের তিনদিনই লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। ডিএসইতে গত সপ্তাহে ছয় মাস পর সবোর্চ্চ লেনদেনে হয়েছে। একে সুখবর বলছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা। তবে এটি স্থায়ী করতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেয়ারও পরামর্শ দেন তারা। এদিকে. দেড় বছর পর পুঁজিবাজারে শেয়ারের দামের সর্বনিু সীমা তুলে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। যদিও সূচকে প্রভাব ফেলতে পারে এমন ৩৫টি কোম্পানির ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকবে।
প্রায় দুবছর ধরে দেশের পুঁজিবাজারের লেনদেন ছিল অনেকটা স্থবির। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও অনেক বড় বিনিয়োগকারীরা তখন বিনিয়োগে আগ্রহ দেখায়নি। তবে নতুন বছরে নতুন সরকার গঠন হবার পর পুঁজিবাজারে গতি ফিরতে শুরু করেছে।
গত সপ্তাহের তৃতীয় কার্য দিবসে লেনদেন হয়েছে ৮শ’ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। যা গত বছর ২০ আগষ্টের পর সর্বোচ্চ লেনদেন।ঐদিন লেনদেন হয়েছিল ৯শ’ ৪৭ কোটি ২ লাখ টাকা। আর ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক চার কার্য দিবসই ছিল উর্ব্ধমুখী।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার পাশাপাশি নীতির সংস্কারের পরামর্শ দিলেন বাজার বিশ্লেষকডিএসইর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী ও অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর।
শুধু পরিকল্পনা করলেই হবে না, তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে,ঠিকভাবে বাস্তবায়নের তাগিদও দিলেন তারা।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৩৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দাম বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ১১১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। আরঅপরিবর্তিত রয়েছে ১৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
সুত্র:বৈশাখী অনলাইন