প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি, ২০২৪ ১১:৩৭ : পূর্বাহ্ণ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে কারা কারা থাকছেন এবারের মন্ত্রিসভায়। এরই মধ্যে শপথ গ্রহণ করেছেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। এবার অপেক্ষা নতুন মন্ত্রীসভার সদস্যদের শপথের। বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে নতুন মন্ত্রিসভায় শপথের জন্য ৩৬ জনকে ফোন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এদের মধ্যে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার জন্য ২৫ এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার জন্য ১১ জনকে ফোন করা হয়েছে। পূর্ণমন্ত্রীর জন্য ডাক পাওয়াদের মধ্যে আলোচিত নাম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
পাপন মন্ত্রীসভার জন্য ডাক পাওয়ায় ক্রীড়াঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে বোর্ড সভাপতির পদটা ছেড়েই দেবেন তিনি। যদি ছেড়েই দেন, তবে কে হবেন বিসিবির নতুন সভাপতি। বিশেষ করে মাশরাফির নামটাই ভেসে আসছে সবার আগে। জাতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে লম্বা সময় ধরে যুক্ত ছিলেন তিনি।
ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রীড়া আইনে মন্ত্রিত্ব পেলে কোনো ফেডারেশনের সভাপতিত্ব করা যাবে না, এমন কোনো নিয়ম নেই বাংলাদেশের সংবিধানে। ২০১৩ সাল থেকে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হচ্ছে। এর আগে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সরকার কর্তৃক মনোনীত ছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারের অনেক মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতির তালিকায় থাকা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আবু সালেহ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও সাবের হোসেন চৌধুরী মন্ত্রিত্ব এবং বোর্ড সভাপতি উভয় পদেই একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাই মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার সঙ্গে বিসিবি সভাপতি থাকার বিষয়টি সাংঘর্ষিক নয়। ক্রিকেট বোর্ডে পাপন চার বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি পদে মেয়াদ রয়েছে পাপনের। এরপরই পাপনের শেষ দেখে ফেলেছেন অনেকেই।
বোর্ড সভাপতি হিসেবে দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে মাশরাফিকে এই পদে দেখার আগ্রহ ব্যাপক। অনেকের মতেই দেশের ক্রিকেটের অভিভাবকের পদে সাবেক এই টাইগার পেসারই যোগ্য ব্যক্তিত্ব। তবে, বিসিবির গঠনতন্ত্র দেখে কিছুটা হতাশ হয়ত হতেই হবে ক্রিকেট ভক্তদের। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এখনই সাকিব আল হাসান বা মাশরাফি বিন মোর্তুজার বিসিবি সভাপতি হওয়ার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কেউ সভাপতি প্রার্থী হতে চাইলে প্রথমেই তাকে জেলাভিত্তিক ক্লাব কিংবা আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হয়, এরপর হতে হয় বিসিবি পরিচালক। সাকিব নিজেই এখনও ক্রিকেটার আর মাশরাফি খেলা থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও কোন আঞ্চলিক সংস্থায় যুক্ত হননি। বিসিবিতে দুজনের কারোরই পরিচালকের পদ নেই। ফলে সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারছেন না তারা।
নাজমুল হাসান পাপনের দায়িত্ব ছাড়ার পর তাই সাকিব বা মাশরাফি নন, বরং বিসিবিরই কোনো পরিচালকের এই পদে আসার সম্ভাবনা বেশি।
সুত্র: চ্যানেল২৪