চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে অবদানের জন্য ‘চায়না-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেল এস. আলম গ্রুপ

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১১:২৫ : পূর্বাহ্ণ

 

দেশের উন্নয়নমুখী প্রকল্প সমূহে অবদানের পাশাপাশি চীন ও বাংলাদেশ এর ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ‘চায়না-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ অর্জন করেছে এস. আলম গ্রুপ। সম্প্রতি ‘পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি সেক্টর’ ক্যাটাগরিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় এই শিল্পগোষ্ঠীকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

 

দেশে বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, যোগাযোগ ও অন্যান্য শিল্পখাতে বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অংশীদারিত্বে বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে এসব উদ্যোগগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। চীন ও বাংলাদেশ এর যৌথ প্রকল্পগুলোর অন্যতম হচ্ছে- চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারায় অবস্থিত ১৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট। যেটি ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক উৎপাদনের পর জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে। বাংলাদেশে অবস্থিত চীনের প্রকল্পসমূহের মধ্যে এই প্রকল্পটিকে ‘পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি সেক্টর’ ক্যাটাগরিতে ‘চায়না-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ দেওয়া হয়েছে।

 

এ প্রসঙ্গে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মো. ইবাদত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট এর সফলতা বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতের জন্য মাইলফলক। একইভাবে  চীন ও বাংলাদেশ এর ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বেরও গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন এটি। ‘চায়না-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন এই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিশ্চিতভাবে অনুপ্রাণিত করবে।”

 

প্রসঙ্গত, প্রায় ২.৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার অর্থ্যাৎ ২৮ হাজার কোটিরও বেশি ব্যয়ে নির্মিত এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টটি বেসরকারি একক বিনিয়োগ হিসেবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এই বিদ্যুৎ প্রকল্পে এস. আলম গ্রুপ এর অংশীদারিত্বের পরিমাণ ৭০ শতাংশ এবং বাকি ৩০ শতাংশের মালিকানায় রয়েছে চীনা কোম্পানি সেপকো থ্রি ও এইচটিজি এর। বিগত ১৮ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন চালু হয় এবং পুরোদমে দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় গত ২৬ অক্টোবর।

 

Print Friendly and PDF