চট্টগ্রাম, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে কার্যকরভাবে ওজন কমাবে এই ৬ পানীয়

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২:২০ : অপরাহ্ণ

 

শীতকালে নানা ধরনের পিঠাপুলির আয়োজন হয়। এসব খাবার খুবই লোভনীয়। পিঠাপুলির বেশিরভাগই মিষ্টি স্বাদের। তাই খাবার এতটাই সুস্বাদু যে, লোভ সামলে রাখা দায়। আর এসব খাওয়ার কারণে ওজন বাড়ে। আবার শীতের সময়ে মানুষ একটু অলসতা করে। যে কারণে খুব বেশি ক্যালোরিও ঝরানো সম্ভব হয় না। সবকিছু মিলিয়ে শীতকালে ওজন কমানো খুব কঠিন।

ওজন কমাতে স্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। তবে এর পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানে প্রস্তুত কিছু পানীয় রাখতে পারেন, যা ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও বেশি সাহায্য করবে। খবর-টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

লেবু-মধুর মিশ্রণে গরম পানি
গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নেন। এরপর তা পান করুন। নিয়মিত পান করার ফলে ঝরে যাবে অতিরিক্ত চর্বি। লেবু ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস এবং এটি হজমে সাহায্য করে। মধু প্রাকৃতিক মিষ্টি যোগ করে এবং কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। সকালে খালি পেটে লেবু ও মধু মেশানো কুসুম গরম পানি পান পেট ফুলে থাকা, বুকে ব্যথা ও পাকস্থলীতে জমে থাকা টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে।

 

দারুচিনির চা
দারুচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং খুদা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এটি চায়ে উষ্ণ ও আরামদায়ক গন্ধ যোগ করে। এ চায়ের বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা আছে। দারুচিনির চা ওজন কমায়। এর স্বাদ চিনির প্রতি আসক্তিও কমায়। রাতে বা খুব সকালে এক কাপ গরম দারুচিনির চা খেলে শরীরের চর্বি কমে যাবে।

প্রস্তুত: ১–২টি লম্বা দারুচিনির টুকরা গরম পানিতে সেদ্ধ করে নিন। তারপর ৫–৭ মিনিট পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। ভারী খাবার খাওয়ার আগে এই চা খেলে হজমেও সুবিধা হয়।

লেবু-পুদিনার চা
লেবুর টক স্বাদ, পুদিনার ঘ্রাণ ও চায়ের উষ্ণতা দেয় ওজন কমানোর এক দারুণ টোটকা। লেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। চায়ে এই ভিটামিন সি মিশে হজমে সহায়তা করে ও শরীর থেকে বিভিন্ন দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। পুদিনা পেট ও গলা ঠান্ডা করে, ক্ষুধা নিবারণে সহায়ক। লেবু চা বানাতে লেবুর রস নিন কিংবা মোটা মোটা করে কাটা কয়েক টুকরা লেবু পুদিনাপাতাসহ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে পানিটুকু ৫ মিনিট ফুটান। ব্যস, আপনার শীতকালীন বিশেষ চা তৈরি। এই চা শুধু খেতেই ভালো না, আপনার ওজন কমাতে রাখবে বিশেষ ভূমিকা।

 

বিটরুটের জুস
বিটরুট খুব পুষ্টিকর এবং এতে ক্যালরি কম। এই জুস খেলে পেট সহজেই ভরে যায়, ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। বিটরুটে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। এটি লিভার বা যকৃতের স্বাভাবিক ক্রিয়ায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখে এবং শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। এক কাপ রিটরুটের জুস তৈরি করতে একটি বিটরুট গ্রেট করে নিন। তারপর পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। স্বাদ বাড়াতে লেবু ও সামান্য বিট লবণ যোগ করতে পারেন।

 

নারকেল ও দারুচিনির চা
এ চায়ে পাবেন দারুচিনির উপকারিতা আর নারকেলের দুধের পুষ্টিগুণ। এই পানীয় তৈরি করতে কিছু লম্বা দারুচিনির টুকরা নিন। তারপর নারকেলের দুধে দারুচিনির টুকরাগুলো ভিজিয়ে রাখুন। নারকেলের দুধটুকু কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। যতক্ষণ না দুধের রং বদলে যেতে থাকে, ততক্ষণ ফুটাতে থাকুন। এবার আপনার তৈরি চা একটা গ্লাসে ঢালুন। চায়ের ওপর খানিকটা দারুচিনির গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। ব্যস, আপনার নারকেল ও দারুচিনির চা তৈরি। এই চা শুধু আপনার ওজনই কমাবে না, শীতের দিনে উষ্ণতার আমেজও দেবে।

 

সবুজ চা
সবুজ চা পাতা বা একটি গ্রিন টি ব্যাগ গরম পানিতে কয়েক মিনিট রাখুন। তারপর পান করুন। সবুজ চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যাটেচিন রয়েছে, যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। এতে ক্যালরির পরিমাণও কম। এ ছাড়া অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ও হলুদের পানীয় শরীরের বিপাকক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং সহায়তা করে হজমে। হলুদে আছে কারকিউমিন, যা প্রদাহ দূর করে এবং অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি দ্রুত শরীরের চর্বি ক্ষয় করে ওজন কমিয়ে দেয়।

 

 

সুত্র: চ্যানেল২৪

Print Friendly and PDF