প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১১:২৩ : পূর্বাহ্ণ
সারাদেশে শীতের হিমেল হাওয়া বয়ে চলছে। দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে আরও কয়েকদিন আগে থেকেই তীব্র শীত অনুভব করা যাচ্ছে। ঋতু পরিক্রমায় যদিও এখনো শীতপূর্ব মৌসুম চলছে। তবে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব রয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় অতিরিক্ত আর্দ্রতা নিয়ে আসে। আর রোদের প্রভাবে আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কিন্তু চলতি বছর এখনো সেটা হয়নি।
এ কারণে এবার দেশের নদী অববাহিকায় ও উত্তরাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ছে। অন্য অঞ্চলগুলো হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে। ফলে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বদলগাছীতে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর চলতি মাসের গড় স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসেলিয়াস।
চলতি মাসে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নিয়ে চ্যানেল 24 অনলাইনকে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে শীত জেঁকে বসেছে। যদিও ডিসেম্বরের শেষ দিকে শৈত্যপ্রবাহ নামার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে বিক্ষিপ্তভাবে শৈত্যপ্রবাহ নামতে পারে। কিন্তু এটা সব অঞ্চলে হবে না।\
আবহাওয়াবিদ মো. তরিকুল নেয়াজ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, গত কয়েক দিন ধরে উত্তরাঞ্চলে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আজ দিবাগত মধ্যরাতেও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আর অন্যসব এলাকায় সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আগামী ১৪-১৫ ডিসেম্বরের দিকে উত্তর-উত্তরপশ্চিম অঞ্চলে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এসব এলাকায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যেতে পারে।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, মঙ্গলবার থেকে রাতের তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার রাতের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। তবে এ সময় দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।