প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১০:২১ : পূর্বাহ্ণ
দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল হিসেবে পরিচিত খাগড়াছড়ি এখন আর দুর্গম নেই। যোগাযোগ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, সীমান্ত সড়ক, স্থলবন্দর সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে বদলে গেছে খাগড়াছড়ি। পাহাড়ের আনাচে কানাচে পিচ ঢালা সড়ক হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলোয় কেটেছে আঁধার। ব্যবসা বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটেছে।
খাগড়াছড়ির পাহাড়ের বাসিন্দা টিউলিপ। পাহাড়ি পথ ভেঙ্গে স্কুলে যেতে এখন আর তার ভোগান্তি কষ্ট কোনটাই হয়না। প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চল মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়ার পাকা সড়ক ধরে টিউলিপরা স্কুলে যায়, কাজে যায়।
আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে পাহাড়ে বহুমুখী উন্নয়নের ফলে বদলে গেছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দুর্গম চিত্র। পাকা সড়কে চান্দের গাড়ি করেই নির্বিঘেœ যাওয়া যায় উপজেলা সদরে, বাজারে, হাসপাতালে।
মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ির মত খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা, বাঘাইহাট থেকে সাজেক, দীঘিনালা থেকে লংগদুসহ সব উপজেলায় যাওয়ার পাকা সড়ক হয়েছে। সদরের সাথে সব উপজেলার যোগাযোগ নির্মিত হয়েছে প্রায় ৩শ’ কিলোমিটার পাকা সড়ক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহেই খাগড়াছড়ি-বান্দরবন-রাঙ্গামাটি এই তিন পার্বত্য জেলাকে যুক্ত করতে ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানান খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান।
সড়ক যোগযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠার পাশাপাশি আলোকিত হয়েছে শহর ও আশপাশের প্রতিটি ঘর। সোলার বিদ্যুত প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্গম পাহাড়ীদের ঘরে পৌঁছেছে বিদ্যুতের আলো।
পর্যটকদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান আলুটিলাসহ খাগড়াছড়িকে আরো অকর্ষনীয় করে গড়ে তুলতে বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। গড়ে উঠছে হোটেল মোটেল।
উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে পাহাড়ের শিক্ষা খাতেও। ২০০৫-২০০৬ সালে খাগড়াছড়ি জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল ৪০টি। এখন আছে ১৪০টি। সরকারি কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ই ছিল না। বর্তমান সরকারের সময়ে ২শ’ ৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হয়েছে। কম্পিউটার ইন্টারনেটের ব্যবহারও রয়েছে এই পার্বত্য অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে।
খাগড়াছড়ি জেলায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গড়ে ওঠা রামগড় স্থলবন্দর উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ফেনী নদীর উপর নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু। চালু হবে ইমিগ্রেশনও। স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চালু হলে পার্বত্য চট্রগ্রামের অর্থনীতিতে সুবাতাস লাগবে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভায় ৭ একর জায়গাজুড়ে নির্মিত হয়েছে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব আবাসন প্রকল্প। এখানে ভুমিহীন ও অনাথ ৬০টি পরিবার পাবে স্থায়ী আবাসন। অনাবাদী জমিকে চাষের আওতায় এনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বাড়ছে কৃষি উৎপাদন।
সুত্র:বৈশাখী অনলাইন