চট্টগ্রাম, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঁধাকপি না ফুলকপি কোনটির উপকারিতা বেশি, জানালেন পুষ্টিবিদ

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ ৩:৪৪ : অপরাহ্ণ

 

ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীত শুরু হয়েছে। আর শীতের শুরুতে বাজারে কিন্তু শীতকালীন সবজিও পাওয়া যাচ্ছে। শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফুলকপি ও বাঁধাকপি। এ সময় প্রায় সব বাড়িতেই পাওয়া যায় সবজি দুটি। বিভিন্ন মাছের সঙ্গে ঝুল করে রান্না হয়। কখনো কখনো শুটকি দিয়েও ভেজে খাওয়া হয় ফুলকপি ও বাঁধাকপি। যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, স্বাদে অনন্য।

দুটি সবজিই স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টিগুণে ভরপুর। কিন্তু কোন সবজি বেশি উপকারী, এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বিভিন্ন মহলে। কেউ বলেন ফুলকপি বেশি উপকারী, আবার কেউ দাবি করেন বাঁধাকপি অনন্য। কিন্তু প্রকৃত সত্যটা কী, সেটা জানতে চায় না কেউ। এবার এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কলকাতার বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ শর্মিষ্ঠা রায় দত্ত। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।

বাঁধাকপির উপকারিতা : একটি বাঁধাকপি থেকে ২২ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা আপনার ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া বাঁধাকপি হচ্ছে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এবং এতে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এ জন্য নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চাঙা হয়।

 

ফুলকপি সেরা : মানবদেহকে ডিটক্স করতে ফুলকপির বিকল্প খুঁজে পাওয়া ভার। শরীরে প্রদাহের প্রকোপ কমাতে নিয়মিত ফুলকপি খেতে হবে। এছাড়া এতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী ফাইবারের ভাণ্ডার। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও উপকারী। আবার ওজনও স্বাভাবিক গতিতে নিয়ন্ত্রণে আসে। এ জন্য প্রতিদিনের ডায়েটে ফুলকপি রাখতে পারেন।

 

বাঁধাকপি না ফুলকপি―কোনটা বেশি উপকারী : এতক্ষণে এটা হয়তো স্পষ্ট হয়েছেন যে, কোনোটি কম নয়। পুষ্টিবিদ শর্মিষ্ঠার ভাষ্যমতে, বাঁধাকপি ও ফুলকপি দুটোই পুষ্টিকর সবজি। কোনোটিকে এগিয়ে রাখা সম্ভব নয়। সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দুটি সবজিই রাখতে পারেন। এতে ভালো উপকার পাবেন।

 

বেশি খেলে সমস্যা : শীতকালীন সবজি হওয়ায় অনেকেই সপ্তাহজুড়ে পছন্দের সবজিটি খাদ্যতালিকায় রাখেন। এতে কিন্তু ছোট ছোট নানা সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য প্রতিদিন ফুলকপি কিংবা বাঁধাকপি খাওয়া ঠিক নয়। সপ্তাহে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে চার থেকে পাঁচদিন খাওয়া যেতে পারে। আর দিনে এক কাপের থেকে বেশি নয়।

 

যারা খাবেন না : পুষ্টিবিদ শর্মিষ্ঠার কথায়, আইবিএস এবং গ্যাসট্রাইটিসের মতো সমস্যা থাকলে ফুলকপি ও বাঁধাকপি খাওয়া উচিত হবে না। তাহলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হবে। এছাড়া রেনাল ডিজিজ বা কিডনিজনিত সমস্যা থাকলে ডায়েটে ফুলকপি ও বাঁধাকপি না রাখাই ভালো। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

 

 

সুত্র: চ্যানেল২৪

Print Friendly and PDF