প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ৩:১২ : অপরাহ্ণ
মিষ্টিজাতীয় খাবার কম-বেশি সবাই পছন্দ করেন। যেকোনো খাবার খাওয়ার পরই অল্প কিছু মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া যেন অভ্যাস আমাদের। আর মিষ্টিজাতীয় সুস্বাদু খাবারের প্রধান উপকরণ চিনি।
চিনির তৈরি খাবার মুসুস্বাদু হলেও এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। চিনির ক্ষতিকর দিক নিয়ে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত গভর্নমেন্ট কলেজ অব এ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানিয়া ফেরদৌসী। এবার তাহলে তার ভাষ্যমতে চিনির ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে নেয়া যাক।
এই পুষ্টিবিদ জানান, চিনি হচ্ছে নীরব ঘাতক। এটি অনেকটা বিষের মতো কাজ করে শরীরে। স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে শরীরকে। বাজারে সচরাচর পাওয়া চিনি দিয়ে চা বা মিষ্টিজাতীয় খাবার তৈরিতে ব্যবহার হয়, সেটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কেউ কেউ সাদা চিনির পরিবর্তে লাল চিনির কথা বলেন। এটি তুলনামূলক ভালো।
লাল চিনি রিফাইন হয় না বলে এতে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ লবণ থাকে। কিন্তু চিনিকে রিফাইন করা হলে এতে কোনো খনিজ লবণ থাকে না। আর লাল চিনিও যদি অতিরিক্ত গ্রহণ করা হয়, তাহলে সেটিও শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ। সবচেয়ে ভালো চিনি না খাওয়া। তবে প্রয়োজনে একজন নারী দৈনিক ২৫ গ্রাম এবং পুরুষ ৩৬ গ্রাম চিনি গ্রহণ করতে পারেন। এর থেকে বেশি গ্রহণের ফলে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি : অতিরিক্ত চিনি খাওয়া থেকে রক্তের প্রবাহ পরিবর্তিত হয়। এ থেকে হার্ট অ্যাটাক ও হার্টফেল করার মতো সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
লিভারের ক্ষতি : চিনি অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে লিভারের চারপাশে অতিরিক্ত চর্বির স্তর জমে। এতে লিভারের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে।
রক্ত চলাচলে বাধা : নিয়মিত চিনি খাওয়ার ফলে রক্ত চলাচলের ধমনীর দেয়ালের পুরুত্ব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এতে স্বাভাবিকভাবে রক্ত চলাচল করতে পারে না এবং উচ্চ রক্তচাপ হয়।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি : মিষ্টিজাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিনি থেকে দৈনিক ১৫০ ক্যালোরি গ্রহণ করা হলে প্রায় ১ দশমিক ১ শতাংশ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর যারা আগে থেকেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের জন্য চিনি ক্ষতিকর।
ফ্যাট জমে : চিনি খাওয়ার ফলে চিবুক, তলপেট, হাত ও পায়ের পেশীসহ শরীরের অন্যান্য অংশে ফ্যাট জমা শুরু হয়। যে কারণে অল্প সময়ে ওজন বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ফ্যাট জমলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সুত্র: চ্যানেল২৪