প্রকাশ: ১০ নভেম্বর, ২০২৩ ২:৩২ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সব রাজনৈতিক দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে যা সম্ভবপর। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাংলাদেশ ইস্যু গুরুত্ব পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে করা এক প্রশ্নের জবাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বেদান্তকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলগুলোর প্রস্তাবিত অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে কী ওয়াশিংটন সমর্থন করে? জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, আমি গতকাল বা তার আগের দিন বা তার আগের দিন এমন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলাম।’
যুক্তরাষ্ট্রের এই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা নির্দিষ্ট কোনো প্রার্থীকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র চায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। যা বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছাকে সম্মান করবে ও গণতান্ত্রিক চর্চাকে এগিয়ে নেবে।
মুখপাত্র বেদান্তের এই উত্তরের পর তাকে আবারও একই ইস্যুতে প্রশ্ন করা হয়। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়—আমরা প্রতিবারই উত্তর পাচ্ছি যে, আপনারা সবাই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান। এটি ঠিক আছে, কিন্তু প্রশ্ন হলো, আপনারা অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন করেন কি না? হ্যাঁ বা না।
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আপনি অতীতেও আমাদের বলতে শুনেছেন যে, আমরা কোনো দেশে কোনো নির্দিষ্ট সরকার, রাজনৈতিক দল বা কোনো নির্দিষ্ট প্রার্থীকে সমর্থন করি না এবং সে ক্ষেত্রে যেখানে নির্বাচন চলছে, সেখানে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো—এই নির্বাচনগুলো অবাধ ও সুষ্ঠু উপায়ে অনুষ্ঠিত হবে যাতে দেশের জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অপর এক প্রশ্নে বেদান্তের কাছে জানতে চাওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিরো-টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যমও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থে সন্ত্রাস দমন প্রচেষ্টায় ইতিবাচকভাবে অবদান রাখছে। এ বিষয়ে বর্তমান সরকারের অর্জনকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান এই মুখপাত্র বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি বিস্তৃতভাবে কথা বলব। আপনি আমাকে আগেও বলতে শুনেছেন যে, গত বছর আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্যাপন করেছি, এবং অবশ্যই এই দেশের সঙ্গে আমরা সেই সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাই। আমরা আমাদের সম্পর্ক ও অংশীদারত্বকে আরও গভীর করতে চাই। কারণ বাণিজ্য, জলবায়ু সহযোগিতা, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে চাই এবং অন্যান্য আরও অনেক ক্ষেত্রেই সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে।’