প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২:৫৬ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আদর্শের রাজনীতি হয় না। এখানে আদর্শের নামে আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টার রাজনীতি হয় এবং আধিপত্য বিস্তারের যে গ্রুপগুলো আছে তাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের অনেকগুলো নেতানেত্রীর নামে তারা পরিচিত। ক্যাম্পাসে কিছু ঘটলেই তারা ওই নেতানেত্রীদের সমর্থক হিসেবে পরিচয় দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে চান।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী চ্যানেল 24 এর সাথে একান্ত সাক্ষাতে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ওই নেতানেত্রীদের সামনে রেখে অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আমার মনে হয় না। অনেক সময় তারা ছাড় দেন। ফলে রাজনীতিতে থাকা শিক্ষার্থীরা মনে করেন ঐ সমস্ত নেতানেত্রীদের কারণে তারা প্রভাবশালী। এজন্য তারা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। যারা বহিষ্কার হয়েছে তাদের নামই বার বার শোনা যাচ্ছে।
গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের টানা সংঘর্ষ, একের পর এক বিতর্ক, সাংবাদিক মারধরের কারণে কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর আগে রোববার সকালে প্রথম আলোর ক্যাম্পাস সাংবাদিক মোশাররফ শাহকে দ্বিতীয় কলা অনুষদের সামনে থেকে তুলে নিয়ে শহীদ আব্দুর রব হলের ঝুপড়িতে নিয়ে মারধর করে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ১৪ জুলাই রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি ও ইকবাল হোসেন টিপুকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এরপর ২০২২ সালের ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের ৩৭৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এতে ৬৯ জন সহ-সভাপতি, ১২ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক রাখা হয়।
সূত্র: চ্যানেল ২৪