প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:৪২ : অপরাহ্ণ
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ২২৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। এতে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এগিয়ে গেল রোহিত শর্মার দল।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি রোববার বৃষ্টির কারণে পণ্ড হওয়ায় সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সঠিক সময়ে খেলা মাঠে গড়ায়নি। খেলা শুরু হয় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর। বোববার বৃষ্টির আগে ২৪.১ ওভারে ২ ওপেনারের উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তুলেছিল ভারত। ৫২ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন শুভমান গিল এবং রোহিত শর্মা প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৪৯ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে। ২৮ বলে ১৭ আর ১৬ বলে ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলি।
আজ রিজার্ভ ডেতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছেন ভারতীয় দুই ব্যাটিং স্তম্ভ ভিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল। পাকিস্তানের বিপক্ষে বিরাট কোহলি বরাবরই ভালো খেলেন। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামও কোহলির রেকর্ডগাঁথা সমৃদ্ধ করে বরাবরের মতো। কোহলির সঙ্গে জুটি বাঁধেন রাহুল। দলকে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি উপহার দেন চোট সারিয়ে প্রত্যাবর্তন করা এই ব্যাটার। তার পরেই সেঞ্চুরি করেন বিরাট কোহলি। কেএল রাহুল করেন ১০৬ বলে ১১১ রান এবং কোহলি খেলেন ৯৪ বলে ১২২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। আর কোনো উইকেট পড়তে না দিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন তোলেন ২৩৩ রান। নির্ধারিত ওভার শেষে ভারত তাদের ইনিংস শেষ করে ৩৫৬ রানে।
সেঞ্চুরি করার আগে কোহলি ছুঁয়ে ফেলেন তেরো হাজার রানের মাইলফলক। ইনিংসের হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ১৩ হাজার রানের রেকর্ড এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারের। ২৬৭ ইনিংসে এই রেকর্ড গড়েন তিনি। আরেক ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার ১৩ হাজার রান ছুঁয়েছেন ৩২১ ইনিংসে। রিকি পন্টিং (৩৪২ ইনিংস), কুমার সাঙ্গাকারা (৩৬৩ ইনিংস) ও সনাৎ জয়সুরিয়াও (৪১৬ ইনিংস) রয়েছেন এই ক্লাবে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার। একজন ব্যাটারও ত্রিশের কোটা পেরোতে পারেননি। ভারতের বোলিং আক্রমণের কোন জবাবই ছিল না বাবরের দলের কাছে। পেসারদের সামলাতে পারেননি। পারেননি স্পিন অ্যাটাক সামলাতেও। কুলদীপ যাদবের স্পিন-বিষে বিপর্যস্ত হয়েছে ইমাম-ফখররা। ৩২ ওভারের বেশি খেলতে পারেনি পাকিস্তান, তাদের ইনিংস শেষ হয় ১২৮ রানে। যাদব ২৫ রান খরচ করে তুলে নেন ৫ উইকেট। নাসিম শাহ ও হারিস রউফ ব্যাট করতে নামেননি। অবশ্য নামলেও যে কিছু করতে পারতেন, তা দিব্যি দিয়ে বলা যায় না।
এই ম্যাচ শেষে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের পয়েন্ট টেবিলে ৩ দলেরই পয়েন্ট সমান। ভারত ও শ্রীলঙ্কা একটি ম্যাচ খেলে ২ পয়েন্ট পেয়েছে। পাকিস্তানের পয়েন্ট ২ ম্যাচে ২। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বরাতে ২ ম্যাচ খেলেও কোনো পয়েন্ট জোটেনি।
সূত্র –যমুনা নিউজ