প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১:১৭ : অপরাহ্ণ
বৈরি আবহাওয়া মোকাবেলা করে প্রতি বছরের মত এবারও নওগাঁর চাষীরা পাট চাষ করছেন। তবে, তীব্র খরা ও নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে উৎপাদিত এই পাটের কাক্সিক্ষত বাজার দর না পেয়ে হতাশা ঘিরে ধরেছে চাষীদের। তাদের দাবি, পাইকারদের সিন্ডিকেটের কারণেই পাটের বাজারদরের এমন নিম্নগতি।
এবছর নওগাঁয় ৪ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে দেশী, তোষা এবং মেস্তা জাতের পাটের আবাদ করা হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি স্বল্পতায় পাট কাটার পর জাগ দিতে গিয়ে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। তবে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ের কয়েক দফার বৃষ্টিপাতে সেই সমস্যা কেটে যায়। বর্তমানে স্থানীয় হাট বাজারগুলোতে পাটের আমদানি বেড়েছে। কিন্তু, পাটের আমদানি বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে সিন্ডিকেট করে মানভেদে প্রতি মণ পাটের দাম আগের তুলনায় ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কমানো হয়েছে বলে অভিযোগ চাষীদের। উৎপাদিত পাট কম দামে বিক্রি হওয়ায় মলিন মুখে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে চাষীদের।
এদিকে, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, পাট নিয়ে মিলাররা ঠিকঠাক মূল্য পরিশোধ করে না। সিন্ডিকেট করে মিলাররা আটকে রাখে তাদের পাওনা টাকা। ফলে তারাও পড়েছেন বিপাকে।
অন্যদিকে, পাট কাটার পর জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যার কারণে জেলায় প্রতিনিয়ত পাটের আবাদ কমছে বলে জানালেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
সোনালী আঁশকে টিকিয়ে রাখতে পাট চাষীদের নায্য দাম নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নিয়মিত বাজার তদারকি প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র – বৈশাখী অনলাইন