প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৩:০০ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আব্দুল ওয়াহাব আজ সোসাইটির কক্সবাজারস্থ বিভিন্ন কর্মসূচি পরিদর্শন করেন এবং এসময় তিনি এ জেলায় চলমান মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহাব আজ সকালে কক্সবাজারে পৌঁছলে কক্সবাজার ইউনিট অফিস, পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশন (পিএমও) ও মিয়ানমার রিফিউজি রিলিফ অপারেশন (এমআরআরও) কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। তিনি সকাল ১০টায় হোটেল সিগালে সোসাইটির তিনদিনব্যাপী অর্থব্যবস্থাপনা বিষয়ক একটি প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন। এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব জনাব কাজী শফিকুল আজম, দুর্যোগ সাড়াপ্রদান বিভাগের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, লিগ্যাল এফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক এবং পিএস টু চেয়ারম্যান জনাব এনায়েতউল্লাহ আকরাম, অর্থ বিভাগের পরিচালক জনাব এএইচএম মাইনুল ইসলাম, পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশনের হেড অব অপারেশন ও পরিচালক জনাব মোঃ বেলাল হোসেন, এবং আইএফআরসি’র হেড অব সাব ডেলিগেশন জনাব হৃষিকেশ হরিচন্দন প্রমুখ।
প্রশিক্ষণ উদ্বোধনের সময় মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আব্দুল ওয়াহাব বলেন, সোসাইটির অর্থবিভাগকে আমরা মানবিক সেবার উপযোগী করে গড়ে তুলতে চাই। সেজন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। সোসাইটির কর্মসূচির সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
প্রশিক্ষণ উদ্বোধনীতে উপস্থিত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের মহাসচিব কাজী শফিকুল আজম বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সবসময় অগ্রনী ভূমিকা পালন করে। এই ভূমিকাকে সফল করতে হলে সুষ্ঠু অর্থব্যবস্থার বিকল্প নেই।
বিকাল তিনটায় চেয়ারম্যান, মহাসচিব ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ সোসাইটি পরিচালিত পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশন পরিদর্শন করেন। এই অপারেশনে সহায়তা প্রদানকারী অন্যান্য রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিততে একটি মতবিনিময় সভায় অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহন করেন। উক্ত সভায় তথ্যচিত্রের মাধ্যমে অপারেশনের সফলতা, প্রতিবন্ধকতা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।
তথ্য উপস্থাপনের সময় পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশনের হেড অব অপারেশন ও পরিচালক জনাব মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে আগত প্রায় দশ লক্ষ মানুষের জীবন রক্ষাসূচক কাজের জন্য বাংলাদেশ সরকার সোসাইপিকে আহ্বান জানায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ৩৩টি ক্যাম্প এবং কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও জরুরি সেবা প্রদানে কাজ করছি।
ক্যাম্পে আশ্রয় গ্রহন করা মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য ৯,৪৬৭টি মধ্য—মেয়াদি শেল্টার নির্মাণের পাশাপাশি কক্সবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে নির্বাচিত অসহায় ও বিপদাপন্ন প্রায় নয়শত ব্যক্তিকে টেকসই ঘর প্রদান করেছে রেড ক্রিসেন্ট। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জীবন বাঁচাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বাঁধ, পাহাড়ের ঢাল—সুরক্ষা দেয়াল নির্মাণ ইত্যাদিসহ নানা দুর্যোগ প্রশমন ব্যবস্থা গ্রহন করেছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান কক্সবাজারে মানবিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় সহায়তার আহ্বান জানান।